Hare to Whatsapp
অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস গণমাধ্যমের অধিকার পুনরুদ্ধারে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ১২, : সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আগরতলা প্রেসক্লাব পরিচালন কমিটির নির্বাচন এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস'-এর চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে সংবাদ মাধ্যমকে দুর্বল করার জন্য কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এসেম্বলী অব জার্নালিস্ট এক বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস সরাসরি প্রেসক্লাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি ঠিকই; তবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে সংগঠিত আন্দোলন থেকেই "সেভ আগরতলা প্রেসক্লাব" মঞ্চ তৈরি হয়েছিল যারা স্বতন্ত্রভাবে প্রেসক্লাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সরকারি তরফে ব্যাপক বিভ্রান্তি, প্রলোভন, কুৎসা ও হুমকির পরেও সেভ আগরতলা প্রেসক্লাব মঞ্চ' -র প্রার্থীরা সভাপতি, সহ সভাপতি-সহ ৫ টি পদে জয়ী হয়েছেন যা এ রাজ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে নজির সৃষ্টি করেছে।
তীব্র প্রতিকূলতা ও অনৈতিক পরিবেশের মধ্যেও যারা 'সেভ আগরতলা প্রেসক্লাব' মঞ্চের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস ধন্যবাদ জানিয়ে এসেম্বলীর বিবৃতিতে সংবাদ মাধ্যমের স্বার্থে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে একসঙ্গে থাকার আহ্বান করা হয়েছে। সংগঠন মনে করে, যারাই এই মঞ্চের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন, তারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, স্বাভিমান ও মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে আগামী দিনে অগ্রনী ভূমিকা নেবেন।
সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এটা দুঃখজনক হলেও সত্য, গত কয়েকদিন ধরে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টসকে জড়িয়ে নানারকম কুৎসিত ষড়যন্ত্র একটি প্রভাবশালী মহল থেকে শুরু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য একটাই যাতে গোটা সংবাদমাধ্যমের মেরুদণ্ড শাসকের স্বার্থে ভেঙে দেওয়া যায়। শুধু তাই নয়, অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস্ -এর অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান ও সেভ আগরতলা প্রেসক্লাব মঞ্চ থেকে বিজয়ী সভাপতি বর্ষীয়ান সম্পাদক সুবল কুমার দে-কে জড়িয়ে, বিশেষত সোশাল মিডিয়ায় নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কুৎসা রটানো হচ্ছে সাংবাদিকদের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি ও ঐক্য নষ্ট করার লক্ষ্যে। এমনকি তাঁর নাম ব্যবহার করে ভূয়া ফেসবুক আই-ডি থেকে একই উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর নানা পোস্টও দেওয়া হচ্ছে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে। এর তীব্র নিন্দা করে এতে লিপ্ত স্বার্থান্বেষী মহলকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধে করেছে সংগঠন।
এসেম্বলীর অভিযোগ, আগরতলা প্রেসক্লাব নির্বাচনের আগে থেকেই একটি মহল থেকে এই চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। এরা সাময়িকভাবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক সফল হলেও এতে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টসের বহমান আন্দোলন কর্মসূচিতে কোনও প্রভাব পড়েনি বা পড়বেও না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র- বিরোধী কতিপয় ব্যাক্তি এবং পদলোভী দু-একজনের ষড়যন্ত্রে রাজ্যের সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত না হতে আমরা অনুরোধ করেছে এসেম্বলী।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সাব্রুমে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব যে ভাবে সংবাদমাধ্যমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এবং তারপর থেকে যে ভাবে সারা রাজ্যে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে তার বিরুদ্ধে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস তাদের আন্দোলন আগামী দিন আরও তীব্র করবে বলেও দ্বিধাহীনভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে জানানো হয়েছে।