Hare to Whatsapp
ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন: বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ১১, : দীপাবলীর আগেই আশার আলো দেখিয়েছে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা।হু বলেছে চলতি বছরের শেষেই মারন ভাইরাস করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার এই আশা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হার প্রধান তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসাস।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ফাইজার-এর তৈরি টিকাটি খুবই আশাব্যঞ্জক। এ ছাড়া আরও আরও ভ্যাক্সিনের প্রত্যাশা রয়েছে।’ একই সঙ্গে ভ্যাক্সিন উৎপাদনের পরে তা বণ্টনে সাম্য বজায় রাখার উপরেও জোর দিয়েছেন।
ঘেব্রেইয়েসাস জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে নিয়োজিত গবেষক দলে রয়েছেন আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সুদান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভিয়েতনাম ও ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা।
সোমবার WHO-এর আফ্রিকার আঞ্চলিক অধিকর্তা মাতশিদিসো মোয়েতি জানিয়েছেন, ‘সোমবার সম্ভাব্য কোভিড ভ্যাক্সিন পাওয়ার সদর্থক খবর পাওয়া গিয়েছে এবং তা নির্ভর করছে টিকার চরিত্র অনুযায়ী আফ্রিকীয় দেশগুলির কোল্ড চেন ব্যবস্থায় থাকা সমস্যার সঠিক সমাধান হওয়ার উপরে। এই সহায়তা ছাড়া ভ্যাক্সিন বণ্টন প্রক্রিয়া সফল হওয়া অসম্ভব।’
অন্য দিকে, WHO-এর নেতৃত্বে অতিমারীর উৎস সন্ধানে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান অভিযানের ডাক দিয়েছে আমেরিকা। এর আগে চিনের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ WHO-এর বিরুদ্ধে এনেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে সেই অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ সংস্থার প্রধান। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনে প্রত্যাশা এবং সম্ভাব্য তথ্যের মধ্যে ফারাক ঘোচাতে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে WHO-এর অনুদান আরও নমনীয় ও সদর্থক করার প্রয়োজন বলেও টুইটারে মন্তব্যকরেছেন সংস্থার প্রধান। তাঁর বার্তা, ‘ফাইজার ও বায়োএনটেক গ্রুপের থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণামূলক তথ্যকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কোভিড অতিমারী রোধে নিরাপদ ও কার্যকর প্রতিষেধক উৎপাদনে ব্রতী সব বিজ্ঞানী ও সহযোগীদের কুর্নিশ জানাচ্ছি। অতিমারীর অবসান ঘটাতে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সামগ্রিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকছে বিশ্ব।’
অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মোট ৪২টি সম্ভাব্য কোভিড ভ্যাক্সিন চিহ্নিত করেছে WHO। তার মধ্যে দশটি ভ্যাক্সিন বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অন্তিম পর্বে পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ভ্যাক্সিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছেন।
সূত্র: অনলাইন সংবাদসংস্হা