Hare to Whatsapp
শুখা মরশুমের শুরুতেই পাহাড় জুড়ে জল সংকটে দিশেহারা গিরীবাসী, স্বাস্হ্য পরিষেবা বিপর্যস্ত
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ১১, : শুখা মরশুমের শুরুতেই গ্রাম পাহাড়ে বিশেষতঃ পার্বত্য অঞ্চলে ইতিমধ্যেই পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারন করতে শুরু করেছে।আশন্কা ডিসেম্বরে এই সঙ্কট অধিকতর তীব্র রুপ নেবে।গিরিবাসীদের জলের জন্য চাতক পাখীর মত এটিলা ওটিলায় ছুটতে হবে। শুধু পানীয় জল সঙ্কট নয় অন্ত্রবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।এমনিতেই গত কয়েক দশক ধরে ত্রিপুরার পাহাড় নানা সংকট ও সমস্যায় ধূঁকছে। অতীতে এই পরিস্হিতি সামাল দিতে প্রশাসনের কালঘাম ছুটেছে। বহু প্রান অকালে ঝড়ে পড়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলীয় এলাকা থেকে যে চিত্র এসে পৌছাচ্ছে তা রীতিমত উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই খানত্লাং,কমপুই ১/২ ,খেদাছড়ার পূর্বের আজ গ্রামগুলি তীব্র সংকটে ধূকছে। সংকট জলের। পানীয় জলের কোন উৎস নেই।যেগুলি ছিল সেগুলি শুকিয়ে কাঠ। যেখানে জল আলাদিনের প্রদীপ সেখানে পানীয় তো দূরের কথা রান্নার জল ও গিরীবাসীরা পাচ্ছেন না।
এই চিত্র শুধু মিজোরাম সন্নিহিত গ্রামাঞ্চল নয়,এই চিত্র রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পার্বত্য এলাকায়। কথা হচ্ছিল লঙ্গাই, লংতড়াই, রাইমা, শাখান, আঠারমুড়া, বড়মুড়া, দেবতামুড়া, শানখলা, আমপুড়া, বড়ময়দান, উজান ময়দান, জম্পুইজলার উজানে কজন বসবাসকারী উপজাতিয়দের সাথে। এঁনারা যা বললেন তাতো রীতিমত শংকাজনক।
তাঁদের বক্তব্য নভেম্বরের শুরুতেই জল সংকটের মে পরিস্হিতিতে উনারা পড়েছেন এমন সংকট অতীতে তারা দেখেননি। পরিশ্রুত জল তো দূরের কথা,ডোবার জল পর্যন্ত নেই। এদের প্রশ্ন জলের যে সব উৎস ছিল তা এখন নেই। ছড়ার জল, এই আছে তো একটু পরেই নেই। রাত তিনটে নাগাদ যাঁরা আসতে পারেন তারা গর্তখুড়ে অল্প বিস্তর জল সংগ্রহ করতে পারছেন। অন্যদের ক্ষেত্রে তো বালাই। কি সংকট তা কল্পনাও করা যায়না। আগামী দিনগুলির পরিস্হিতি কি হতে পারে তা ভেবেই তারা শংকিত।
এমনিতেই শুখা,আবহাওয়া পরিবর্তনে নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে। সর্দিকাশি,জ্বরতো লেগেই আছে। স্বাস্হ্য কর্মীরা করোনা জনিত পরিস্হিতি মোকাবেলা করতে করতেই ক্লান্ত,সেখানে এই সর্দি,কাশি,গায়ে গায়ে জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা এক কঠিন চ্যালেন্জ। শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিস্হিতি আরো উদ্বেগজনক।হাসপাতাল,স্বাস্হ্যকেন্দ্র গুলি এমনিতে করোনা সামাল দিতে পারছে না। যদিও এখন অনেক হ্রাস পেয়েছে। জ্বর,সর্দি,কাশির রোগীদের ভীড় এখন অনেক বেশী।স্বাস্হ্যকেন্দ্র,উপস্বাস্হ্যকেন্দ্র,হাসপাতালে ঔষুধ তো এখন বাড়ন্ত।সরকারকে অষুধ পাঠাতে আগেই বলা হয়েছে।মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলি প্রয়োজনের তুলনায় নেহাত কম।
এক্ষনে পাহাড়ের যা পরিস্হিতি তা যুদ্ধকালীন ভাবে মোকাবেলা করা না হলে বড়দিনের আগে পরিস্হিতি ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।