Hare to Whatsapp
করোনার মৃত্যুমিছিল রোধে প্রয়োজন বাজীপটকার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ৯, : কদিন বাদেই আলোর উৎসব। যাকে বলা হয়ে থাকে দীপাবলী। আলোয় প্লাবিত হয়ে যাবে মহানগর,নগর,শহর ,মফস্বল ,গ্রাম পাহাড়। আলোর রোশনাই এ নুতন রুপ নিয়ে থাকে। হিন্দুদের অন্যতম উৎসবের একটি। কিন্তু এবার করোনা আবহে হবে দীপাবলী। এই করোনা আবহের মধ্যেই হয়েছে দূর্গোৎসব,দশেরা,কোজাগরী।সরকারের তরফে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এই বিধিনিষেধের মধ্যেই পালিত হয়েছে এইসব উৎসব। সচেতনতার জন্যই ভয়াবহ কিছু হয়নি বা করোনার উদ্বেগজনক বিস্তার হয়নি। যদিও করোনা মোকাবেলায় সরকার এখন অনেক সচেতন,যত্নবান। আগের ভূল ত্রুটি থেকে সরকার যেমন শিক্ষা নিয়েছে, তেমনি চিকিৎসকরা ও অভিজ্ঞতা থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ফল পাওয়া যাচ্ছে বলা যায়। এখন মানুষজন সর্দি,কাশি,কফ,জ্বরের জন্য হাসপাতাল যেমন যাচ্ছে না,তেমনি চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হচ্ছে না। মেডিসিন ষ্টোর থেকেই ঔষুধ নিয়ে আসছে লোকজন। এক্ষেত্রে সোসাল মিডিয়া আশীর্বাদের ভূমিকা নিয়েছে।মানব সভ্যতার ক্রান্তিকালে সোসাল মিডিয়ার অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।
কোভিড আবহে চিকি্ৎসা কর্মীরা প্রচন্ড চাপে রয়েছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলি রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছেনা। এই পরিস্হিতির মধ্যেই আমরা মুখোমুখি হতে যাচ্ছি দীপাবলীর।
দীপাবলী আলোর উৎসব ঠিকই। কিন্তু এই উৎসব বাজী,পটকার উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ূদূষন মারাত্মক পর্যায়ে দাড়াচ্ছে। রাজধানী দিল্লী এমনিতে আবহাওয়া,পরিবেশ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যদিও দিল্লী সরকার বরাবরই কঠোর ব্যবস্হা নিয়ে চলেছে।
ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জনসাধারণকে সতর্ক করে দিচ্ছেন।
কলকাতার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কুনাল সরকার। তিনি জনসাধারনের উদ্দ্যেশ্যে বারবার বলছেন আপনারা কোন অবস্হায় আবহাওয়া,পরিবেশ দূষণ করবেন না। বাজী পটকা ফাটিয়ে করোনা পরিস্হিতি উদ্বেগজনক করবেন না। বাজী,পটকার যদৃচ্ছ ব্যবহার প্রবীনদের বিপদের দিকে নিয়ে যাবে। তাঁর অনুরোধ প্রবীন যাঁরা,তারা তো আমার আপনার পরিবারের সদস্য। এদের বিপদের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেকে বিপন্ন করে তুলবেন না। হাসপাতালের উপর একদম চাপ বাড়াবেন না।ডাঃ সরকারের মত অনেকেই আবেদন জানাচ্ছেন।পঃবঙ্গ সরকার সহ অন্যান্য রাজ্য সরকার নানা নির্দেশিকা জারী করে চলেছে।
ত্রিপুরা সরকার ইতিমধ্যে মাতাবাড়ীর মেলা ও উৎসব বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে। শব্দবাজী নিষিদ্ধ করেছে।
রাজ্যের স্বার্থেই বাজী,পটকা বন্ধ রাখা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকারকে হতে হবে কঠোর। কেননা এবার লক্ষীপূজায় যেভাবে বাজী পটকার ব্যবহার হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এবার যদি দীপাবলীর আগে থেকে প্রশাসন কঠোর অভিযান না চালায় তাহলে হয়তঃ করোনা পরিস্হিতি ভয়াবহ,উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোর আশন্কা থাকছেই।