Hare to Whatsapp
আগরতলা প্রেস ক্লাব পরিচালন কমিটির নির্বাচন 8 নভেম্বর, বহিরাগত হস্তক্ষেপ নিয়ে সাংবাদিক মহলে অসন্তোষ
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ৩০, : আগরতলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচনকে প্রহসনের পরিনত করার অপপ্রয়াস নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এক্ষেত্রে এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভাবিত অপপ্রয়াস নেয়ার অভিযোগে সরব হয়ে উঠেছে সাংবাদিকদের বড় অংশ। বলা হচ্ছে ওই মন্ত্রী যেভাবে জবরদখলকারীদের পক্ষ নিয়েছে গনতন্ত্রের পক্ষে দাড়িয়েছেন তা উদ্বেগজনক।
প্রেস ক্লাবকে জবরদখলকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে এবং সাংবাদিকদের অধিকার, পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করতে গড়ে উঠেছে প্রেস ক্লাব বাঁচাও কমিটি।
নবগঠিত এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্যন্দন সম্পাদক সুবল কুমার দে, সিনিয়র সাংবাদিক শেখর দত্ত, অরুন নাথ, সানিত দেবরায়, অনল রায় চৌধুরী, সমীর ধর, এবং রাজ্যের বহুল ও জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল ত্রিপুরা ইনফো-র ম্যানেজিং এডিটর জয়ন্ত দেবনাথ।তাছাড়া ত্রিপুরার অধিকাংশ মিডিয়া হাউজের সৎ সিনিয়র ও জুনিয়র সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এই সাংবাদিক গ্রুপে। এরা প্রেসক্লাব বাঁচাও - এর ডাক দিয়েছে। এদের এই আহ্বানের প্রতি সমর্থন রয়েছে পেশার প্রতি একনিষ্ঠ সব অংশের সাংবাদিকদের।এদের সংখ্যা অনেকটাই বেশী।এরা প্রেস ক্লাব বাঁচাতে অঙ্গীকার বদ্ধ।
বর্তমানে ক্লাব দখলকারীদের নেতৃত্ব প্রদানকারী তথাকথিত ফিরিঙ্গীদের নেতা বলে পরিচিত জনৈক সরকারের পদলেহনকারীর বিরুদ্ধে ভূরিভূরি অভিযোগ রয়েছে।লোকজন বলাবলি করেন বা গুন্জন রয়েছে যে ক্লাবের নাম করে উনি নাকি অর্থের পাহাড় গড়েছেন।আবার এও গুন্জন রয়েছে যে বিপ্লববাবুর নাম ভাড়িয়ে উনি প্রশাসনে ছড়ি ঘুরিয়ে থাকেন, ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করেন।
উনার এমন ক্ষমতা যে প্রেস ক্লাবের সদস্য থাকা না থাকা অর্থাৎ নুতনদের সদস্যপদ দেয়াটা উনার মর্জির উপর নির্ভর করে থাকে।
ক্ষমতার অলিন্দে গুন্জন রয়েছে যে ঐ বাবু নাকি সব কিছুই করতে পারেন।
বলা যেতেই পারে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রথম নির্বাচিত কমিটির কার্যকরী সদস্য ছিলেন এই প্রতিবেদকও। কিন্তু ক্লাবের দায়িত্ব ভার নিয়েই ওই বাবু নানা অজুহাত তুলে সদস্যপদ খারিজ করে দেন। অথচ প্রেস ক্লাব গঠনের পেছনে এই প্রতিবেদকের কমবেশী অবদান ছিল। ওই ভদ্রলোক এমন বাগীশ বা তর্কালঙ্ক যে একাধারে আকাশবানী সহ আরো চারটিতে যুক্ত রয়েছেন।আকাশবানীতে কাজ করে কিভাবে তা সম্ভব তা আকাশবানী কর্তৃপক্ষ বলতে পারেন।
পত্রিকান্তরে খবর ওই ভদ্রলোক এবং তার অনুগামীরা যাতে ক্লাবের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন তারজন্য জনৈক প্রভাবশালী মন্ত্রী ময়দানে নেমে পড়েছেন।গনতন্ত্রের পক্ষে তা বিপদজ্জনক বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করে থাকেন।
এই শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মনে করেন প্রেসক্লাব নির্বাচন নিয়ে
সাংবাদিকদের অধিকারের উপর শাসকশক্তির অনৈতিক হস্তক্ষেপ গনতন্ত্রের পক্ষে শোভনীয় নয়। শাসক শক্তির হুমকীর মুখে ইতিমধ্যে বেশ কজন প্রার্থী লড়াই থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
প্রেস ক্লাবের মত একটি স্বশাসিত সংস্থার আভ্যন্তরীণ নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের জেরে সমস্ত ভোটার, প্রার্থি ও সাংবাদিকরা এক ভীতসন্ত্রস্ত পরিবেশের আক্রান্ত ।