Hare to Whatsapp
আগরতলা প্রেসক্লাবের পরিচালন কমিটির নির্বাচন: এক মন্ত্রীর অনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সাংবাদিকের বাড়ীতে পুলিশ
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ২৯, : আগরতলা প্রেস ক্লাবের চলতি নির্বাচন ঘিরে বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্লাবের বিদায়ী কমিটিতে তাদের আজ্ঞাবহ এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের বৃহত্তম যৌথ মঞ্চ আসেম্বলি অব জার্নালিস্টস। এবং সংগঠন এনিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আগরতলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করতে প্রত্যক্ষভাবে কোনও মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, হুমকি, প্রলোভন , কুৎসা ও ষড়যন্ত্রের কোনও নজির অতীতে নেই। এটা শুধু সাংবাদিক স্বাধীনতার পক্ষেই নয়, সামগ্রিকভাবে রাজ্যের গনতন্ত্রের পক্ষেও অত্যন্ত বিপজ্জনক। আগরতলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন বেশ উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বৃহস্পতিবার। প্রেসক্লাবের মত একটি স্বশাসিত সংস্থার আভ্যন্তরীণ নির্বাচনে শাসক শক্তির অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপের ফলে ভোটার, প্রার্থী ও সাংবাদিকরা ভীতসন্ত্রস্ত পরিবেশের শিকার।
শুধু তাই নয়, আসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, আগরতলা প্রেস ক্লাবের বর্তমান পরিচালন কমিটির সরকারি মদতপুষ্ট একটি অংশের হুমকির মুখে বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কোন কোন প্রতিদ্বন্দ্বি আজ তাদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন। আবার কোন কোন প্রার্থীকে বাড়ীতে পুলিশ ও টিএসআর-এর বেষ্টনী তৈরি করে দিনভর আটক করে রাখা হয়েছে। যাতে তিনি কোনভাবেই তার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে না পারেন। এবারের আগরতলা প্রেস ক্লাবের পরিচালন কমিটির নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কাতেই ক্লাবের বর্তমান পরিচালন কমিটির শাসক শক্তির মদতপুষ্ট ওই অংশটি এক প্রভাবশালী মন্ত্রীকে কাজে লাগিয়ে এসব করছে বলে আসেম্বলি অব জার্নালিস্টস অভিযোগ করেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ছিলো আগরতলা প্রেস ক্লাবের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বুধবার রাত থেকে সাংবাদিকদের ঐক্য ভাঙতে শাসক দলের ওই মন্ত্রী ময়দানে নেমে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেন। প্রার্থী ও ভোটারদের ফোন করে নরমে-গরমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। সভাপতি পদের এক প্রার্থীকে তার বাড়িতে একরকম জোর করেই পুলিশ ও টিএসআর-র বেষ্টনীতে বন্ধি করে রাখা হয়। মন্ত্রীর এই অগনতান্ত্রিক আচরনে শুধু প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরাই নয়, রাজ্যের গোটা সাংবাদিক মহল আজ শঙ্কিত। সাংবাদিকদের নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ এর আগে কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। সাংবাদিকদের ঐক্য বিনষ্ট করতে এরকম অনৈতিক প্রচেষ্টা গনতন্ত্রের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক বলে আসেম্বলি অব জার্নালিস্টস –এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে।