২৪ জানুয়ারি সূচনা হবে ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি-২০২৪ : তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ২৩, : আগামী ২৪ জানুয়ারি সূচনা হবে ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি-২০২৪। আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসির আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। ২২ জানুয়ারী সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এই সংবাদ জানান। তিনি জানান, ২০১৯ সালে ত্রিপুরা আইটি/আইটিইএস স্টার্টআপ পলিসি ২০১৯ চালু করা হয়েছিল। ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত এই পলিসির মেয়াদ ছিল। রাজ্যে আইটি/আইটিইএস ভিত্তিক স্টার্ট-আপগুলির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি তাদের উদ্ভাবনী ভাবনাকে উৎসাহিত করতে এই পলিসিটি চালু করা হয়। ২৬টি আইটি ভিত্তিক স্টার্টআপ এই পলিসিতে নিবন্ধিত ছিল। এই ২৬টি আইটি ভিত্তিক স্টার্টআপগুলিকে এই পলিসিতে ১ কোটি টাকারও বেশী ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৩০ জনের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আইটি/আইটিইএস স্টার্টআপ প্রকল্পের অধীনে স্বীকৃত ২৬টি সহ ত্রিপুরার ১২৭টি স্টার্টআপ ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি এন্ড ইন্টার্নেল ট্রেড (ডিপিআইআইটি)-র সাথে নিবন্ধিত। অবশিষ্ট এই ১০১টি স্টার্ট-আপগুলির সহায়তায় ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি ২024 গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন এই পলিসিতে সমস্ত স্টার্ট-আপগুলিকে (আইটি ভিত্তিক এবং নন- আইটি ভিত্তিক) বিভিন্ন ইনসেন্টিভ প্রদান করা হবে। যেমন প্রতিমাসে পরিচালন খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা। মহিলা পরিচালিত এবং বিশেষভাবে সক্ষম দ্বারা পরিচালিত স্টার্ট- আপগুলির ক্ষেত্রে পরিচালন খরচ বাবদ যথাক্রমে ১০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ আরও অতিরিক্ত দেওয়া হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানান, নতুন এই ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসিতে স্টার্টআপগুলিকে কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ক্রয়, পেটেন্ট, মার্কেটিং সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে। এর জন্য ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পলিসিতে রাজ্যের তরুণ প্রতিভাদের হস্ততাঁত, হস্তকারু শিল্প, উদ্যান পালন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, স্বাস্থ্য পরিষেবার মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজস্ব স্টার্টআপ তৈরী করতে উৎসাহিত করা হবে। এর ফলে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রত্যেক বছর রাজ্যে প্রায় ২০০টি স্টার্টআপ শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের রাজ্যেই কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবনী ভাবনাগুলিকে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার এ ধরণের পলিসি গ্রহণ করছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং অধিকর্তা জেয়া রাগুল গেশান বি. উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন...