Hare to Whatsapp
বিপ্লব দেব- এর মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ১২, : রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে। জনমনে চর্চা বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন কিনা? চর্চা তো খুবই সঙ্গত। কেননা বাগী বিধায়কদের একটি অংশ রাজধানী দিল্লী গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবী নিয়ে। নেতৃত্ব করছেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
অন্যদিকে জবরদস্ত বলে পরিচিত রামপ্রসাদ পালও এখন দিল্লীতে। এদের নিয়ে মোট আটজন বিধায়ক রয়েছেন। ওরা গেছেন দিল্লী দরবারে ৬/৭ দিন হয়ে গেল। কজন নাকি নানা দলিল দস্তাবেজ নিয়ে গেছেন।
জানাগেছে, দলীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ আরো কয়েকজনের দরজায় কড়া নাড়বেন। অনেকে আবার ছুটে গেছেন এইমস , মেদান্ত- এ। শরীর চেক আপ করিয়েছেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে আসরে নেমে পড়েছেন বিজেপি সভাপতি স্বয়ং। মুখ্যমন্ত্রীও দিব্যি সরকারী কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট দিতে শুরু করেছেন। আকারে ইঙ্গিতে বাগীদের হুমকি দিচ্ছেন, দিচ্ছেন নানা পরামর্শ।পুরো পরিবারের ছবি দিচ্ছেন। বেশ ভাল ছবি।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী জায়া নীতি দেবও সামাজিক মাধ্যমে পোষ্টে বলেছেন তিনি সরকারী নিরাপত্তা কর্মী নেবেন না। তিনি বলেছেন এসব নিরাপত্তা কর্মী দরকার নেই।জনগনই নিরাপত্তা। এটা বিলম্বিত বোধোদয় যদি বলা হয় তাহলে ভূল বলা হবে কি? মোটেই না। তবে এতদিন কিভাবে তিনি নিরাপত্তা কর্মীর বহর নিয়ে এসবিআই ব্যাঙ্কে যাতায়াত করেছেন। শুধু যাতায়াত নয় সিআরপি বা টিএরআর বাহিনী ৯ টা বাজতেই ব্যাঙ্কের ছাদের চারকোনায় সঙ্গীন উঁচিয়ে দাড়িয়ে পড়তেন। এ নিয়ে প্রচন্ড সমালোচনা হয়েছে। শুধু ব্যাঙ্কে যাতায়াত নয় রাজ্যের বিশেষ করে সদরের নানা অনুষ্ঠানে যাতায়াতের সময় ও নিরাপত্তা কর্মীর বেষ্টনী থাকতেন।
কিন্তু কি এমন ব্যাপার হল মুখ্যমন্ত্রী জায়াকে নিরাপত্তা কর্মীর কনভয় হঠাৎ করেই ছেড়ে দিতে হল? এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন মুখ্যমন্ত্রীর আসন প্রশ্ন কন্টকিত।
অন্যদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সান্তনা চাকমা তার সামাজিক মাধ্যমে একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। কেন বন্ধ করে দিয়েছেন তা সান্তনা দেবীই বলতে পারবেন। কিন্তু এই ঘটনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকেই মনে করছেন।
রাম রাজত্বের যারা খবরা খবর রাখেন তাঁরা মনে করছেন বিজেপি তাদের শাসনকালে কোন মুখ্যমন্ত্রী বদল করেননি। এক্ষেত্রে কি হবে তা হলপ করে কেউই বলতে পারছেননা।
এদিকে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি মানিক সাহা তো রবিবার বলেই দিয়েছেন যারা দলীয় অনুশাসন ভেঙেছেন তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্হা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে রেহাই দেয়ার প্রশ্ন উঠেনা।দেখা যেতেই পারে আগামী দিন গুলিতে কি হতে পারে বা ঘটনা প্রবাহ কোন দিকে ধাবিত হয়।