Hare to Whatsapp
আগামী বছর চালু হতে পারে সীমান্ত রেলপথ
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ৪, : ত্রিপুরা তথা ভারতের রেল মানচিত্রে নতুন সংযোজন আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। এই রেলপথের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ কিলোমিটার ত্রিপুরার মধ্যে এবং বাকি ১০ কিলোমিটার নিশ্চিন্তপুর এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে। ভারতীয় অর্থায়নে এই রেলপথ তৈরি হচ্ছে। ত্রিপুরার অংশটি পুরোটাই ব্রডগেজ এবং বাংলাদেশের অংশটি ডুয়েল লাইন। অর্থাৎ ব্রডগেজ এবং মিটারগেজের সমন্বয় থাকছে। জোরদার গতিতে নির্মাণ কাজ চলছে। যদিও এখন করোনা আবহ। রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ। করোনা কালে কিছুদিনের জন্য কাজ কিছুটা বন্ধ থাকলেও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কাজ শুরু হয়ে যায়। দু'দেশের মধ্যে যোগাযোগকারী এই রেলপথের জন্য শত শত মানুষ নিজের কৃষিজমি, ভিটেমাটি, ত্যাগ করে অন্য জায়গায় যাচ্ছেন। তারা সরকারি বিধি নিষেধকে অবশ্য মান্যতা দিয়েই ভিটেমাটি কৃষিজমি ত্যাগ করছেন। তাদের কাছে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ আবেগ ভালোবাসা। জনসাধারণ কাজটি পরিদর্শনের জন্য প্রায়ই দেখতে যান। নিশ্চিন্তপুর স্টেশনটি হবার ফলে কিছু মানুষের কৃষি জমিতে জল জমে গেছে। জল বদ্ধতার কারণে কৃষিজমি চাষাবাদের অনুপযোগী এবং কিছু রাস্তায় জল দাঁড়ানোর কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এই সমস্যা সমাধানে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, কৃষি ও পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়িকা মিমি মজুমদার কিছুদিন আগে পল্লান পাড়া সফর করেন এবং সমস্যা সমাধানে সভায় মিলিত হন। সব মিলিয়ে অনেক মানুষের ত্যাগ, আশা-ভরসা, ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে দু-দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য এই রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।
ট্রিপার চালকেরা সকাল আটটার মধ্যে নিজেদের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে মাটি আনা-নেওয়া, পাথর পরিবহন রড,ও বিভিন্ন সরঞ্জাম পরিবহনের কাজ করে থাকেন। কাজ ৫০% মতো শেষ হয়ে গেছে। এখন চলছে ব্রিজ নির্মাণ, প্লাটফর্ম, নির্মাণের কাজ। আশা করে যে আর এক দুই বছরের মধ্যে বাধারঘাট বিধানসভার পল্লান পাড়া, নিশ্চিন্তপুর এর মানুষ, এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার মানুষ রেলের ঝিকঝিক শব্দ শুনবেন এই আশায় দিন গুনছেন। সামগ্রিক কাজটির দায়িত্বে চিফ ইঞ্জিনিয়ার, কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক এর আধিকারিকরা বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মাঝেমধ্যে দু'দেশের আধিকারিকদের মধ্যে বোর্ড মিটিং হয়। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।