Hare to Whatsapp
আঠারোমুড়া জুড়ে পানীয় জলের তীব্র সংকট, সরকারী কাজের দেখা নেই!
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ২, : আঠারমুড়া জুড়ে অভাবিত পানীয় জল সংকট। জল সংকটে দিশেহারা ভূমিপুত্ররা। জলের উৎস শুকিয়ে কাঠ। খোয়াই নদীর উৎস গঙ্গানগরেই জলের গঙ্গাপ্রাপ্তি অবস্থা।এমন জল সংকট আঠারমুড়া দেখেনি কখনো। উত্তর থেকে দক্ষিণ কোথাও জল নেই।
তা বলে জল ছাড়া কি বাঁচা যায়? তাই সকাল থেকে বিকেল জলের জন্য চলে অবিরাম লড়াই। এ লড়াই যেন মহাভারতের। আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশের যে কটি পাড়া রয়েছে তারা পানীয় জল মাঝেমধ্যে পেয়ে থাকে। জাতীয় সড়কের পাশে বসবাসকারী জুমিয়ারা ভোরের আলো ফোটার আগেই পীচের সড়কের পাশে কলসী, ড্রাম, বালতি রেখে দেয় জলের জন্য। ডিআরডব্লিউ এসের ট্রাক গুলি জল দিয়ে যায়। ট্যাঙ্কারে আনা জলের গাড়ী মাঝে মধ্যে জল দিয়ে যায়। এগুলি ও কখন আসে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। দুদিক থেকে ট্যাঙাকারে জল দেয়া হয়ে থাকে।
মুঙ্গিয়াবাড়ীর একটু পর থেকেই জল দেয়া শুরু হয়। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে বিক্ষিপ্ত ভাবে রাখা ড্রাম,বালতি। জুমিয়ারা ভোরের আলো ফোটার আগেই রেখে যায় এসব। যেখানে ড্রাম সেখানে গাড়ী দাড়িয়ে পাইপে জল দিয়ে যায়। ছবিগুলো ৩৭/৪১/ জামলছড়া, চামলছড়া এলাকায় তোলা।
একদিকে যখন জলের জন্য সংগ্রাম তখন বেঁচে থাকার লড়াই ও চলে। সরকারী কাজ নেই। তাই বনের কাঠ কুড়ানো, বনের গাছ কাঁটা জুমিয়াদের আয়ের উৎস। এই কাঠ ঠেলায় চাপিয়ে নিয়ে আসে মুঙ্গিয়াবাড়ী বাজারে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হরমাং কলই তার দশ বছরের ছেলে আবাইল্যাকে নিয়ে গাছের লগ নিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে বিশ্রাম।
আবার পুলিশের ভয়,বনদপ্তরের তাড়া তো আছেই। যে বয়সে দশ বছরের ছেলে বাবার ঠেলা ঠেলছে এই বয়সে তার কিন্তু স্কুলে থাকার কথা। আঠারমুড়ায় অন্তত পনেরটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে কিন্তু সেগুলো না থাকার মত। করোনা আবহ বাদেই শিক্ষকদের পদধূলি স্কুলে পড়ে না। বেতন-ভাতা কিন্তু ঠিকই গুনছে। আর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে কচিকাঁচাদের ভবিষ্যৎ। মিড ডে মিল তো পার্বত্য অঞ্চলে হাওয়ায় উড়ে। বলিহারি প্রশাসন।