Hare to Whatsapp
ত্রিপুরার এন্ট্রি পয়েন্ট গুলিতে করোনা টেস্ট বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠল, উদ্বেগ
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৭, : অবশেষে রাজ্য সরকার ত্রিপুরার এন্ট্রি পয়েন্ট গুলিতে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে।শনিবারই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে সড়ক, রেল এবং বিমানের সমস্ত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। স্বাস্থ্য দফতর এখন তার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না। তবে, থার্মাল স্ক্রিনিং বন্ধ হবে না। প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হবে। তাতে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ওই যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, ত্রিপুরায় গত কয়েকদিনে রেল এবং বিমান যাত্রীদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই সামান্য। তাই, প্রত্যেক যাত্রীর নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে শুধু করোনা-র উপসর্গ রয়েছে এমন যাত্রীদের এখন থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং যথারীতি চালু থাকবে। এ বিষয়ে এমবিবি বিমানবন্দরের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, প্রত্যেক যাত্রীর নমুনা সংগ্রহে অনেক সময় ব্যয় হয়। এতে যাত্রীরা বিরক্ত হন। তাই রাজ্য সরকার এখন শুধু করোনা উপসর্গ থাকলেই নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে বিমানবন্দরে চিকিত্সকদের একটি টিম সর্বক্ষণের জন্য থাকবে। প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং করে প্রয়োজনে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা, বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় শুরুতে ৫:১ অনুপাতে বিমান এবং রেল যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। পরবর্তী সময়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সমস্ত যাত্রীর নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিমান এবং রেল যাত্রীদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হঠাৎ করে রাজ্য সরকার কেন বাধ্যতামূলক করোনা সনাক্ত করন বাতিল করে দেয় তার কোন কারন জানানো হয়নি। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে প্রমানিত হচ্ছে যে রাজ্য হয়তো করোনা মুক্ত। যদি তাই না হয় তাহলে কেন বাধ্যতামূলক পরীক্ষা বাতিল করে দেয়া হল?
স্বাস্হ্য দপ্তর সূত্রে বেসরকারি ভাবে বলা হচ্ছে এখন জিবিতে যেমন করোনা রোগী কম আসছে, তেমনি ভগৎ সিং কোভিড কেয়ার সেন্টার ও হাপানিয়াতেও যাচ্ছে না করোনা আক্রান্ত রোগী। এই অবস্থায় এধরনের ব্যয় বহুল পরীক্ষা করার প্রশ্ন উঠে না। রাজ্য সরকার এখন এন্টিজেন টেষ্ট করছিল। কিন্তু এটাও ঘটনা এই সব টেষ্টে সাধারণের আগ্রহ তেমন নেই তেমনি বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রশ্ন কন্টকিত।
তবে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা বাতিল করে কিন্তু সরকার অতি মহামারী করোনাকে হালকা ভাবে দেখছে। এমনিতেই রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই শতাধিক দাঁড়িয়েছে।