Hare to Whatsapp
সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত ১০৩২৩ শিক্ষকের এসএলপি
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ৭, : সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয়েছে ১০৩২৩ শিক্ষকদের স্পেশাল লিভ পিটিশন। আজ সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিনীত শরণের এজলাসে বিষয়টি নিয়ে আবার শুনানী হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি একবার শুনানী হয়েছিল মামলাটি। দুই বিচারপতি এদিন শুনানী শেষে স্পেশাল লিভ পিটিশনটি গ্রহণ করে। পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ মার্চ।এর মধ্যে রাজ্য সরকারকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের চাকরি হারাতে বসা ১৪ জন শিক্ষক একটি লিভ পিটিশন দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।
তাদের একজন বিজয় কৃষ্ণ সাহা। তিনি স্বাভাবিকভাবেই খুশি আজকে তাদের স্পেশাল লিভ পিটিশন গৃহীত হবার পর। তিনি বলেছেন, ‘দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয়। কোর্ট বলেছে সরকারকে নোটিশ করার কথা। রাজ্য সরকার কি জবাব দেয় তার দিকে তাকিয়ে আছি আমরা। কিন্তু স্পেশাল লিভ পিটিশন গৃহীত হওয়ায় আমরা খুশি’।
ত্রিপুরার তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করেছিল স্নাতক, অস্নাতক এবং বিষয় শিক্ষক পদে। পরবর্তী সময়ে এই চাকরিগুলি মামলা হয়। অভিযোগ উঠে নিয়োগ নীতি নিয়ে। যার জেরে ২০১৪ সালের ৭ মে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এক রায়ে এই চাকরিগুলি বাতিল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে এই চাকরিগুলি বহু মামলা মোকদ্দমা হয়। সুপ্রিম কোর্টে। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার এই শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর জন্য নিজেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। প্রায় তিন বছর পর সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে এইসব চাকরি বাতিল করে দেয়। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ এক রায়ে। পরবর্তী সময়ে আরও দুই দফা সুপ্রিম কোর্ট এই শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দেয় ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর এই শিক্ষকদের চাকরি আর থাকবে না।
শিক্ষকরা যখন প্রায় ধরেই নিয়েছে আর মাত্র দুমাস তাদের চাকরির মেয়াদ তখন আরও একটি লিভ পিটিশন দায়রে হল সুপ্রিমকোর্টে। ১০৩২৩ শিক্ষকের মধ্যে ৪৬১ জনের চাকরি নিয়ে চ্যালেঞ্জ হয়েছিল। পরে অন্য শিক্ষকদেরও এই মামলার পক্ষভুক্ত করা হয়। এদিন যে লিভ পিটিশনটির উপর শুনানী হয়েছে, সেখানে আবেদনকারী শিক্ষকরা বলার চেষ্টা করেছেন যে, যেহেতু তাদের চাকরিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় নি তাই তাদের চাকরি থেকে বাদ দেয়া যায় না। তাছাড়া তাদের মামলায় পক্ষভুক্ত করে কোন আইনী কাগজ পাঠানো হয় নি। শুধু মাত্র সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। তাই এভাবে তাদের চাকরি থেকে বাদ দেয়া যায় না। এসব গ্রাউন্ডেই নতুন লিভ পিটিশনটি হয়েছে বলে জানাগেছে।