Hare to Whatsapp
বরোদা, আমেদাবাদ, পুনে, গোয়ায় আটকে পড়া ত্রিপুরার যুবক যুবতীদের জন্য বন্দেভারত নয় কেন উঠেছে প্রশ্ন
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৮, : বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে বেঁচে থাকার নূন্যতম গ্যারান্টি নেই। প্রতিমুহূর্তে হাজারো প্রান যাচ্ছে। মৃত্যু মিছিল চলছে তো চলছেই। থামার কোনআশশা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিষেধকও আসেনি এখনো।আজ এবলছে তো কাল ও বলছে।
এদিকে অব্যাহত মৃত্যু। আপাতত থামবে বলে মনেই হয়না। তবু যদি , কিন্তু রয়ে গেছে।
ভাবুন তো কি অবস্থা। সন্তান সন্ততি ,যারা ভিন রাজ্যে/দেশে কর্মরত তারা কিভাবে আছে। বাড়ীতেও আসতে পারছে না। এদিক বৃদ্ধ বাবা মা। তারা দুঃস্চিন্তায় মরছে। কে বাঁচাবে এদের? কেউ নেই।সবাই ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে/নিজেকে নিয়ে।
ঠিকই তো। ওঁরা করবেই কি? ওদের যে বাঁচতে হবেই। সামনেই এদের ভবিষ্যৎ। এরাতো এই সবুজ পৃথিবী, এর আলো বাতাস কিছুই দেখেনি বা বুঝতে শিখে নি। বুঝবেই কি ভাবে? এঁরা সময় পেল কোথায়?
করোনা অতিমারী অনেক দিন হয়ে গেল। বহু ছেলে-মেয়ে বাড়ী ফিরতে পারেনি। বন্দে ভারত তো সবখানে দেয়া হয়নি। হবে কি না তা বলতে পারবে মোদি, বিপ্লব। এমন বহু যুবক যুবতী ভিন রাজ্যে রয়েছে এদের সরকারী ভাবে টাকা কড়ি দেয়া হয়নি। খবর হল এদের অনেকের বেতন-ভাতা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
এরা তো রাজ্যের ছেলে মেয়ে। এদের খোঁজ খবর নেয়ার দায়িত্ব কি সরকারের নেই?আলবৎ দায়িত্ব আছে। তবে কেন খোঁজ খবর নেয়া হল না আজ পর্যন্ত? বরোদা, আমেদাবাদ, থিরুবন্তপুরম, পুনে, গোয়া, নয়ডা, রাজকোটে রাজ্যের অনেক যুবক যুবতী রয়েছে। খবর হল এদের অনেকের বেতন ভাতা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তাহলে অল্প বেতনে এঁরা কিভাবে টিকে আছে? সরকারকে কিন্তু এ নিয়ে ভাবতেই হবে। কেননা এরা রাজ্যের ছেলে মেয়ে, এখানেই বাবা মার কোলে পিঠে মানুষ হয়েছে। রাজ্য এদের চাকরী দিতে পারেনি,তাই বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে যেতে হয়েছে এদের। এখন এরা ফ্যাসাদে। এদের উদ্ধার বা আনার দায়িত্ব সরকারের।
একদিকে ওঁরা ফ্যাসাদে, অন্যদিকে এদের অভিভাবক রাও বিপন্নতার মাঝে হাবু ডুবু খাচ্ছেন।
ভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয়দের বন্দে ভারতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, দেশের ও কয়েকটি অন্চল থেকে বন্দে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে, তবে তারা কেন আসতে পারলনা ? তাদের দোষ কি?কেন এখনো এদের আনা হচ্ছে না? উওর তো আজ হউক,কাল হউক দিতেই হবে।
বিপ্লব বাবু, রতনবাবু কি বলেন? চুপ কেন?