Hare to Whatsapp
কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলও খুশী নয়, কোভিড মোকাবিলায় শত ছিদ্রের পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট পেশ হবে শীঘ্রই
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৭, : প্রকাশ , রাজ্য সফরকারী ৩ সদস্যক কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল রাজ্যে করোনা মোকাবেলা ও চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনায় আদৌ সন্তুষ্ট নয়।যদিও এরা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি তবু তাদের ঘনিষ্ঠ মহলের কাছে আলোচনায় এরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে এজিএমসি এবং ভগৎ সিং কোভিড কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসা ও ব্যবস্হাপনায় এরা যারপরনাই অসন্তুষ্ট। এছাড়া ও এঁরা মৃত্যুর কারন নিয়েও বিশ্লেষন করে রিপোর্ট দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় দলটি তাদের অসন্তোষের কথা ঠারেঠুরে বুঝিয়েও দিয়েছেন। এদের কাছে সরকারের কতিপয় আমলা কিছু জানতেও চেয়েছিলেন।এরা স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লী গিয়ে এরা রিপোর্ট পেশ করবেন।এর বেশী আর কিছু নয়।
যদিও এরা অন্তর্বর্তী কালীন একটি রিপোর্ট রাজ্যকে দিয়েছে।এতে মোট তিনটি কারন এরা তুলে ধরেছেন।
তিন সদস্যক দলটি কৈলাশহর ও ধর্মনগর সফর করে আজ দক্ষিণ সফর করে রাজধানী ফিরে আসবেন।
এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সিনিয়র রিজিওনাল ডিরেক্টর ডা,সত্যজিৎ সেন, এনসিডিসি-র কনসালটেন্ট এপিডেমিওলজিষ্ট ডা, ডেইসি পান্না এবং এল এইচ এমসি-র রেসপেরেটরী মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা,পি,ক,ভার্মা।
এরা সফরকালে সবই দেখেছে,কথা বলেছে রোগী ও আত্মীয়জনদের সাথে এবং চিকিৎসকদের সাথে। প্রকাশ, এরা অক্সিজেন ব্যবস্হাপনা ও সরবরাহ সহ মৃত্যুর হার নিয়ে বেশী খোঁজ খবর নিয়েছেন।কোভিডে আক্রান্তদের সাথেও আলোচনা করেছেন। তবে ব্যবস্হাপনা যে একেবারেই বিজ্ঞান সম্মত নয় এব্যাপারে প্রতিনিধি দল প্রকারান্তরে বুঝিয়েও দিয়েছেন বলে প্রকাশ।
এদিকে খবর হল এই বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল আগামী কাল হয়তোবা নয়াদিল্লীর উদ্দেশ্য রাজ্য ছাড়ছেন।
এদিকে স্হানীয় পত্র পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে রাজ্যে সংক্রমণ এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গতকাল পর্যন্ত ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরো প্রায় ৫২৭ জন।
মৃত্যুর কারন নিয়ে বিশেষজ্ঞ দলটি বলেছেন অনেকেই আক্রান্ত। এঁরা বাড়ী ঘরে রয়েছেন। নানা কারনে এরা হাসপাতাল মুখী হচ্ছে না। কিন্তু এঁরা যখন আসছেন তখন রোগ গভীরে।চিকিৎসার কোন সুযোগই থাকে না।ফলে এদের মৃত্যু হচ্ছে।
কেন আসছেন না এরা হাসপাতালে? কারন সেই একটাই।অব্যবস্হা, ঘন্টার পর ঘন্টা বেডে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকা, দেখভাল না করা।
বিশেষজ্ঞ দলটি পথে ঘাটে মানুষ মাস্ক ব্যবহার না করায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এরা নাকি লক্ষ্য করেছেন ৮০% লোকজন মাক্স ব্যবহার করেনা। এই বিষয়টিকে এরা সাংঘাতিক উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে বলেছেন এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে।এমন পরিস্থিতি হতে পারে তা আয়ত্ব বহির্ভূত হয়ে যেতে পারে। অবিলম্বে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি প্রয়োজন।পোষ্টার, ফ্ল্যাক্স, প্লেকারড, বিজ্ঞাপন, লিফলেটে প্রচার দরকার। উল্লেখ্য রাজ্য এই সব খাতে এখন পর্যন্ত কোটির উপরে ব্যয় করে ফেলেছে। রাঘব বোয়াল টাকা খেয়েছে। কাজের নামে অর্থের হরির লুঠ হয়েছে। প্রচার ব্যবস্হাপনা যথাযথ ভাবে হলে রোগীর সংখ্যা অনেক কম থাকত।
সরকার অনুগত ২/১ টি চ্যানূলের কর্তাব্যক্তিরা এই সব কাজ নিয়ে অর্থ পকেটে পুড়েছেন। এটা সবাই জানে। এতে লুকোচুরি -র কিছু নেই। তদন্ত করলে সব হরহর করে বেড়িয়ে আসবে। বলি দিনরাত বাহ্যিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা, আর আড়ালে আবডালে সুযোগ বুঝে অন্য বিক্ষুব্ধদের মদত দেয়াটা অর্থাৎ দুনৌকায় পা দেয়া এদের কাজ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে তো প্রচার পত্র পৌঁছেই নি। সেসব ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। স্হানীয় মোড়ল, হাংবাদিক গোছের দুএকজনকে বরাত দিয়ে ভাগাভাগি করে পকেট ভারী করাই প্রচার। অর্থের জন্য এমন নোংরামি করা অন্যরা মেনে নিলেও কিন্তু প্রকৃতি মানবে না।করোনা মহামারী প্রতিদিন হাজারো লোকের প্রান নিচ্ছে, কিন্তু একটি গাছ, মাছ, পশু, পাখি কিন্তু মরেনি। করোনা এদের স্পর্শ ই করেনি। মানব সভ্যতার পাপের বহর এত বেশী যে করোনা এদের টার্গেট করেছে। এ রাজ্যের ওদেরকেও কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না করোনা।পালাবার পথ খুঁজে পাবে না হেলাইন সরকার।চারজনকে ল্যাং দিয়ে হরকার আকাশবাণী তে ছড়ি ঘুরায়, পিআইবিকে ডিকটেট করে।বানিজ্যের কথা বলে তো লাভ নেই।