Hare to Whatsapp
কোভিড পজিটিভ রোগীদের বাড়ীতে অক্সিমিটার ও হোম আইসোলেশনে থাকলে নগদ ১৫০০ টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৮, : কোভিডের প্রকোপ থেকে ত্রিপুরার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে কোভিড পজিটিভ রোগীদের বাড়ীতে অক্সিমিটার ও হোম আইসোলেশনে থাকলে নগদ ১৫০০ টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই আজ তিনি একাধিক জেলায় সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
কুমারঘাটে পূর্ত দফতরের গেস্ট হাউসে প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের থেকে রিপোর্ট নেওয়ার পর কী কী করতে হবে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। যে যে বিষয়ে খামতি রয়েছে সেগুলিও দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কুমারঘাটের কোভিড কেয়ার সেন্টারে আরও বেড বাড়ানোর ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলেন বিপ্লব দেব।
কুমারঘাটে পৌঁছে এদিন বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আগামী তিন দিনের মধ্যে কুমারঘাটের পুরনো জেলা হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে। অক্সিনেটেড বেডের ব্যবস্থাও হবে এই তিন দিনেই।" তিনি আরও বলেন, কুমারঘাটের পুরনো জেলা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ও সিটি স্ক্যানের যন্ত্র কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। সেটা দ্রুত কী ভাবে সেখানে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং রোগীরা পরিষেবা পান তার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, যাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকবেন তাঁদের ১৫০০ টাকা করে নগদ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজ থেকেই সেই প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য বাড়ি বাড়ি অক্সিমিটার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধর্মনগরে জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নতুন করে একটি ১৫ বেডের কোভিড কেয়ার সেন্টার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিপ্লব দেব। যার মধ্যে ১০টি হবে সাধারণ বেড এবং পাঁচটিতে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এদিন পানিসাগরের কোভিড কেয়ার সেন্টারও পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কৈলাশহরে ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার পরিকাঠামো ঘুরে দেখার পর সংশ্লিষ্ট কোভিড কেয়ার সেন্টারের আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোথাও লোকসংখ্যা কম হলে বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যদের সেখানে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অভাব হলে তার বিকল্প কী হবে সে ব্যাপারেও এদিন স্পেশাল সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এখনও টিআরটিসি-র চালকরা বসেই রয়েছেন। দরকার হলে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সের স্টিয়ারিংয়ে বসাতে হবে।
কুমারঘাটে এদিন দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়েও সভা করেন বিপ্লব দেব। বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশ দেন, এই অতিমহামারী পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকেই দায়িত্বশীল ও মানবিক ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা সেই পরিবারগুলি পাচ্ছে কিনা তা খোঁজখবর নিতে হবে এবং তাঁদের মনোবল বাড়াতে হবে।