Hare to Whatsapp
করোনার সংক্রমণ আটকাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন অন্যথায় বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৬, : প্রকাশ আগরতলা পুর এলাকা ভয়ঙ্কর গোষ্ঠী সংক্রমণের মুখে। কোন কোন অঞ্চলে তা শুরুও হয়ে গেছে। কারন এন্টিজেন পরীক্ষায় ধরা পড়ছে ২০% পজিটিভ। গোষ্ঠী সংক্রমনের মাপকাঠি এটাই। চিকিৎসকরা আজ বলেছেন আগামী কদিনের মধ্যে সংক্রমণ ৩০% র বেশি গিয়ে দাঁড়াবেই।
এমনিতে পুর এলাকা উদ্বিগ্ন। গোটা এলাকা কাঁপছে।এর জন্য পুরবাসীর একটি অংশ সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী। অর্থের জোরে এরা ধরাকে সরা মনে করছে।কোন নিয়ম নীতি মানে না এরা। চুটিয়ে ব্যবসা করছে। এদের কেউ কেউ আবার গেরুয়া নেতা ও নাকি।
প্রশ্ন হল একজনের জন্য তো একশ জন মরতে পারেনা। ওরা মাক্স পড়বে না, দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা করবে না তো ওরা তো সহজেই আক্রান্ত হবেই। একজনের বোঝা একশ জনকে বাচাতে আসতে হবে। এছাড়া কোন পন্থা নেই।
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন রাজধানীর পরিস্থিতি যেমন তাতে বয়স্কদের নিরাপদে চলে যাওয়া প্রয়োজন। ঠিক কথা বলেছেন গ্রামে এত করোনা প্রকোপ নেই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে ওরা।একের গায়ে অন্যজন গিয়ে পড়ে না।
এদিকে নুতন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাড়ী বাড়ী এন্টিজেন টেষ্টের নামে ফাঁকী বাজে চলছে। ভাড়াটিয়াদের কোন পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ।ভাড়াটিয়ারা কি মানুষ নয়? আগরতলা শহরের মোট জনসংখ্যার ৬০% কিন্তু ভাড়াটিয়া। এরা যদি দলবদ্ধভাবে রাজধানী ছেড়ে চলে যায় তো রক্তচোষারা কার রক্ত চুষবে?
যারা খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা কিন্তু জানেন করোনার উদ্বেগজনক প্রকোপে একশ্রেণীর লোক জন রাজধানী ছাড়ছেন।
এ আবার কেমন পরীক্ষা পদ্ধতি? সরকারী গাইড লাইনে তো নেই। তবে কেন এমনটা হবে?
তবে রাজধানী আগরতলা কিন্তু করোনা প্রেক্ষিতে বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে আছে বলে কজন চিকিৎসক অভিমত ব্যক্ত করেছেন। প্রশাসন বিশেষ করে আরক্ষা দপ্তর যদি কঠোর হতে পারত তাহলে হয়তো আজকের মত পরিস্থিতি হতোই না।
পুলিশ পারেনা এমন কিছু নেই। উর্দি দেখলেই যেখানে মানুষজন দৌড়াতে শুরু করে দেয়, সেখানে পুলিশের সামান্য তৎপরতায় ভীড় কমে যেতে পারে। যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণে আসতেই পারে।
কিন্তু পুলিশ এখন তেমন তৎপর হচ্ছেই না। কারন লকডাউনের সময় পুলিশ অনস্পট কিছু ব্যবস্হা নিয়েছিল। আইনভঙ্গের জন্য কয়েকজনকে কানে ধরে উঠবস করিয়েছে পুলিশ। এ চিত্র স্হানীয় চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। এ সব দেখে হৈ হৈ করে উঠল দায়িত্বহীন এক সম্প্রদায়।
তো পুলিশ সব বন্ধ করে দিয়েছে। এরা এখন দায়সারা কাজ করছে। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি যে পর্যায়ে যাচ্ছে তার দায়ভার কি নেবে এসব অতি সচেতন এবং উগ্র মানবাধিকার সংস্থা গুলি? মনে রাখতেই হবে পরিস্থিতি ভালো নয়।অবনতি হচ্ছে পুর এলাকায়। কে রুখবে এ বিপদজনক সংক্রমণ?
করোনা মহামারী জনিত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনিবেশ করা উচিত।