Hare to Whatsapp
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরো-র রিপোর্টে দেশে আত্মহত্যায় সিকিমের পরই ত্রিপুরা
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৫, : এনসিআরবি (ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরো্) বলছে সারাদেশের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনায় ছোট রাজ্য সিকিমের পরই ত্রিপুরা শীর্ষে। এনসিআরবি তার ২০১৯ র বার্ষিক রিপোর্ট বলেছে প্রতিবছর গড়ে ভারতে প্রায় এক লক্ষ আত্মঘাতী হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধ বা অশান্তি, মানসিক চাপ, মাদকাসক্ত, অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি, পেশাগত বৈষম্য, আত্মবিচ্ছিন্নতা, হিংসার আগুনে একের পর এক আত্মঘাতী হচ্ছে।
এনসিআরবি তার রিপোর্টে বলেছে গতবছর ত্রিপুরায় আত্মঘাতী হওয়ার হার ১৮.২% যেখানে সিকিমের হার ৩৩.১%। এই হার জাতীয় চিত্র ম্লান করে দিয়েছে। গত বছর জাতীয় ক্ষেত্রে এই হার ছিল ১০.৪%।
ত্রিপুরায় ২০১৮ র মার্চ থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৪৬৬ টি। ত্রিপুরার পর রয়েছে অরুনাচল প্রদেশ। সেখানে এই হার ৭.৪% , এরপর আসাম ৬.৯%, মেঘালয় ৬.১% এবং নাগাল্যান্ড, মিজোরাম যথাক্রমে এই মৃত্যুর হার মাত্র ১.৯%।
এনসিআরবি তার রিপোর্টে বলেছে ২০১৮ তে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ছিল ১,৩৪,৫১৬ টি। ২০১৯ এ হয়েছে ১,৩৯,১২৩।
সমীক্ষা চালিয়ে এরা বলেছে মূলতঃ মাদকাসক্তি,পরীক্ষায় ব্যর্থতা, বেকারত্ব, সম্পতিগত বিরোধ, পেশাগত সমস্যা, রোগযন্ত্রনা, পারিবারিক বিরোধ এই সব আত্মহত্যার জন্য দায়ী। দীর্ঘ রোগভোগ, পারিবারিক বিরোধে আসামে ৬১৫ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এনসিআরবি বলছে পারিবারিক বিরোধে ত্রিপুরায় ৪০৩ জন আত্মহত্যা করেছে। রোগযন্ত্রনায় আত্মঘাতী হয়েছে ১৫৩ জন। পারিবারিক বিরোধে মনিপুরে ২৩ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক বিরোধে মেঘালয়ে ৯ ,সিকিমের ১৩ এবং নাগাল্যান্ড এ ৬টি ঘটনা ঘটেছে। রোগযন্ত্রনায় আত্মঘাতী হয়েছে মেঘালয়ে ৩৩ জন, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মনিপুরে, অরুনাচল প্রদেশ এ ১০০, ৩৩, ১১, ৩, ২, ১।
এই চিত্র নাজুক। আত্মহত্যার ঘটনা রোধের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি। মানসিক স্বাস্থ্য ও গুরুত্বপূর্ণ।