Hare to Whatsapp
এবার সামাজিক ভাতা প্রদানের তালিকা প্রনয়ন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন সুদীপ রায় বর্মন
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ৩১, : সরকারী নিয়মবিধির কারনে সামজিক ভাতা প্রাপকদের মধ্যে অনেকেরই নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নাম বাদ দেওয়ার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। এই বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার দাবি জানিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে চিঠি পাঠালেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, গত ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ৩৩টি সামাজিক ভাতা প্রকল্পে ৩,৯২,১৯৪ জনভাতা প্রাপক ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে আরও ৩০,০০০ মানুষকে সামাজিক ভাতা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন ।বিজেপি বিধায়ক শ্রী সুদীপ রায় বর্মন আজ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তার উচ্চ প্রশংশা করেছেন ও সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগর জানিয়েছেন।
তবে পাশাপাশি শ্রী রায়বর্মন তার চিঠিতে একথাও বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সমাজ কল্যাণ ও সমায শিক্ষা দফতরের ভুমিকা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপন্থী। ইতিমধ্যেই দফতর, ভাতাপ্রাপ্ত ৩,৯২,১৯৪ জনের মধ্যে ৪৯,২৭২ জনকে ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছেন। এদের মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরায় ১০,৫৩৫ জন, খোয়াইয়ে ৮,৩৮৩ জন, সিপাহীজলায় ৪,৫২৪ জন, দক্ষিন ত্রিপুরায় ৮,০৪৩ জন, গোমতী জেলায় ৩,৫৬৪ জন, ধলাই জেলায় ৬,৯৪২ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৩,৯৮০ জন, ঊনকোটি জেলায় রয়েছেন ৭,০৩১ জন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এরমধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিডিপিও অফিসগুলিতে হাজিরা দিতে না পাড়ার কারণে মোট ৮,৫৬৮ জনকে ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রী রায় বর্মন তার চিঠিতে বলেছেন, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বয়স সম্পর্কিত কোনো অনিয়ম কিংবা মারা যাওয়ার মতো কারণে ভাতা প্রাপ্তির তালিকা থেকে কারোর নাম বাদ গেলে আমার কোন আপত্তি
নেই।
শ্রী রায় বর্মনের মতে, গরীব হওয়া স্বত্বেও কেবলমাত্র এসডিএমের তরফে দেওয়া বাৎসরিক আয়ের শংসাপত্র কিংবা অন্যকোনও প্রয়োজনীয় সরকারি নথি হাতে না থাকার জন্য কারোর নাম ভাতা প্রাপকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুধু নিষ্ঠুরই নয়, অমানবিকও বটে। এদের অনেকেই জানেন না, কোন অফিস থেকে কিভাবে কাগজপত্র, নথি ইত্যাদি জোগাড় করতে হয়।
দুই পাতার বাংলাতে লেখা তার চিঠিতে শ্রী রায় বর্মন আরও বলেছেন, আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, রাজ্য সরকার কারোর মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে দেবার প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী নয়। কিন্তু সমাজ কল্যান ও সমাজ শিক্ষা দফতরের ভূমিকা রাজ্য সরকারের মহত চিন্তাভাবনার পরিপন্থী।
তার মতে, চিহ্নিত ৪৯,২৭২ জনকে সামাজিক ভাতা প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমাজ কল্যান ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের তরফে গত ৫ই আগষ্ট ২০২০ইং তারিখে অতিরিক্ত ও শেষ সুযোগ দেওয়ার নাম করে, ১৮ই আগষ্ট থেকে ১০ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাম/ভিলেজ কমিটি/ ওয়ার্ড ভিত্তিক বিশেষ সভা সম্পন্ন করার আদেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ১০ই অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ভাতা প্রাপকদের তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আগে, এই বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্নভাবে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য শ্রী রায় বর্মন মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক হস্তক্ষেপের প্রার্থনা করেছেন, এবং ১৫ই আগষ্ট আরও ৩০,০০০ জনকে সামাজিক ভাতা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।