Hare to Whatsapp
ত্রিপুরার শিক্ষক মামলা আবার সুপ্রিম কোর্টে: শুনানী 7 ফেব্রুয়ারি
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ৪, : আগরতলা, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০: ত্রিপুরার শিক্ষক মামলা আবার সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের চাকরি হারাতে বসা ১৪ জন শিক্ষক একটি লিভ পিটিশন দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।
তাদের একজন বিজয় কৃষ্ণ সাহা। তিনি প্লুরাল কলামকে জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানী হয়। ফের আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৭ তারিখ এই মামলা উঠবে শুনানীর জন্য সুপ্রিম কোর্টে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিনীত শরণের এজলাসে হয় শুনানী। শিক্ষকদের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন জয়দীপ গুপ্তা।
ত্রিপুরার তৎকালীন বাম সরকার ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করেছিল স্নাতক, অস্নাতক এবং বিষয় শিক্ষক পদে। পরবর্তী সময়ে এই চাকরিগুলি মামলা হয়। অভিযোগ উঠে নিয়োগ নীতি নিয়ে। যার জেরে ২০১৪ সালের ৭ মে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এক রায়ে এই চাকরিগুলি বাতিল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে এই চাকরিগুলি বহু মামলা মোকদ্দমা হয়। সুপ্রিম কোর্টে। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার এই শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর জন্য নিজেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। প্রায় তিন বছর পর সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে এইসব চাকরি বাতিল করে দেয়। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ এক রায়ে। পরবর্তী সময়ে আরও দুই দফা সুপ্রিম কোর্ট এই শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দেয় ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর এই শিক্ষকদের চাকরি আর থাকবে না।
শিক্ষকরা যখন প্রায় ধরেই নিয়েছে আর মাত্র দুমাস তাদের চাকরির মেয়াদ তখন আরও একটি লিভ পিটিশন দায়রে হল সুপ্রিমকোর্টে। ১০৩২৩ শিক্ষকের মধ্যে ৪৬১ জনের চাকরি নিয়ে চ্যালেঞ্জ হয়েছিল। পরে অন্য শিক্ষকদেরও এই মামলার পক্ষভুক্ত করা হয়। এদিন যে লিভ পিটিশনটির উপর শুনানী হয়েছে, সেখানে আবেদনকারী শিক্ষকরা বলার চেষ্টা করেছেন যে, যেহেতু তাদের চাকরিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় নি তাই তাদের চাকরি থেকে বাদ দেয়া যায় না। তাছাড়া তাদের মামলায় পক্ষভুক্ত করে কোন আইনী কাগজ পাঠানো হয় নি। শুধু মাত্র সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। তাই এভাবে তাদের চাকরি থেকে বাদ দেয়া যায় না। এসব গ্রাউন্ডেই নতুন লিভ পিটিশনটি হয়েছে বলে জানাগেছে।
নতুন এই লিভ পিটিশনটিকে ঘিরে আবার নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে আদালতের রায়ে চাকরি হারাতে বসা শিক্ষকদের মধ্যে।
এই শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই আবাদ টেট পরীক্ষা দিয়ে নতুন করে শিক্ষকের চাকরি পেয়ে গেছেন। অবশ্য বিজেপি ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে এই শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।