Hare to Whatsapp
গোস্টি সংক্রমনের কাছাকাছি রাজ্য, শেষ পর্যন্ত মানলেন করোনা কোর কমিটি
By Our Correspondent
আগরতলা, ২৫ , : ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। রাজ্যের জনসংখ্যা সাকুল্যে ৪১ লক্ষের কাছাকাছি। যদিও সরকারী পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা ৩৭ লক্ষের মত। রাজ্যের করোনা জনিত পরিস্থিতি যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে তা বলেছে করোনা ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটি। এই কমিটি বলেছে গোষ্ঠী সংক্রমনের দিকে যাচ্ছে রাজ্য।
সোমবার হয়েছে করোনা ম্যানেজম্যান্ট বিশেষজ্ঞ কোর কমিটির বৈঠক।
তাদের বক্তব্য রবিবার পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৭২০। সোমবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮২০ জন। কোর কমিটির বক্তব্য যে ভাবে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে গোষ্ঠী সংক্রমনের আশন্কা দেখা দিয়েছে। বাজার হাটে যেখানেই পরীক্ষা করা হচ্ছে সেখানেই পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশী। কেন এমনটা হচ্ছে তা এরাও ঠিক করে বলতে পারছেন না। এঁরা দাওয়াই দিয়েছেন মাক্স ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর। সোমবারের বৈঠকেও স্বীকার করা হয়েছে এজিএমসিতে করোনা বাদে অন্য সব রোগের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের মধ্যেই এজিএমসিতে একশ শয্যা বাড়ানো হবে।
আরো একটি সিদ্ধান্ত মতে আগামী মাসের মাঝামাঝি টেষ্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এখন এন্টিজেন টেষ্ট হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে এন্টিবডি টেস্ট হবে। এছাড়া এখন টেষ্ট ও চিকিৎসা বেশী হচ্ছে এজিএমসিতে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আইজিএম ছাড়াও জেলা হাসপাতালেও
পরীক্ষা ও চিকিৎসা হবে।
এটা ঠিক এই রাজ্যে বিশেষ করে রাজধানীতে বাজার হাট, রাস্তায় সামাজিক দূরত্ব মানাই হচ্ছে না। মাক্সও সবাই পড়ছে না। এসব তদারকি করার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্হাপনা যা হচ্ছে তা নামকেওয়াস্তে বলা চলে। অন্তত অভিযোগ এমনটাই।
সব চেয়ে ভয়ংকর অবস্থা হল কোর কমিটির আশন্কা, বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে গোষ্ঠী সংক্রমন হবেই। ভয়ংকর আশঙ্কা।
এখন প্রশ্ন এই গোষ্ঠী সংক্রমন কি ভাবে রোধ করা যেতে পারে? সরকার তো ইচ্ছে করলে কেরালা, দিল্লী, মহারাষ্ট্র যে ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্হা নিয়েছে তা তো অনায়াসে এ রাজ্যেও নেয়া যেতেই পারে। কেরালার পরিস্থিতি তো আগের চেয়ে অনেক ভালো। দিল্লীর পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর দাবী। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের ধারাবী তো এখন নিয়্ন্ত্রনে। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাবীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা তো বিশাল সাফল্য। সেখানে কিন্তু গোষ্ঠী সংক্রমন হয়নি। এই যে সাফল্য তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
আমাদের রাজ্যের উদ্বেগজনক ঘটনা মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। শুধু গতকাল করোনায় প্রান হারিয়েছে ৬ জন। আগামী দিনে মৃত্যুর মিছিল বাড়বে না এ গ্যারান্টি সরকারকে নিশ্চয়তা করতেই হবে।
করোনা রোগী বা সংক্রমিতরা এখানে নিজেদের বাড়ীতেই কোয়ারেনটাইনে থাকছেন। এরা বিধি মানছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে কেয়ার গিভারের পাওয়াই পাওয়া যাচ্ছে না। তো এদের দেখভাল কি ভাবে হচ্ছে?