Hare to Whatsapp
করোনা আবহের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্তে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ২৩, : আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের দুই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে আজ ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। ওই ছাত্রের সাথে একই হোষ্টেল রুমে থাকেন এমন একাধিক ছাত্রের পরিবারের লোকেরা এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এভাবে করোনা আবহের মধ্যে কিভাবে পরীক্ষা গ্রহন করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেছেন বহু অভিভাবক । তাও আবার শারিরীক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। অথচ মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার পরামর্শ ছিল যথাসম্ভব অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহন করার জন্যে। কিন্তু ত্রিপুরা কেন্ড্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাশ গ্রহনের ব্যবস্থায় রাজী থাকলেও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহনের পথে যেতে নারাজ।
আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ ও ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা, রাজ্য মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, -এই চাপিয়ে দেওয়া পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্তে প্রচন্ড ভাবে ক্ষুদ্ধ। কিন্তু কেউই তাদের কোন কথা শুনতে নারাজ।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, দুই সপ্তাহ সময়ও তাদের দেওয়া হয়নি পরীক্ষা গ্রহনের জন্য। গত ১১ই আগষ্ট পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু কোন মেডিক্যাল কলেজের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদেরই করোনার কারণে সব সিলেবাস কমপ্লিট হয়নি। শুধু তাই নয়, করোনার প্রকোপ দেখা দিতেই তাদেরকে হোষ্টেল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এবং বলা হয় অনলাইনে ক্লাশে যোগ দিতে। কিন্তু তাও সব বিষয়ে অনলাইন ক্লাশে সবাই অংশগ্রহন করতে পারেনি। এই অবস্থায় তড়িঘরি পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়ে গেছেন। তাও ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কোন আপত্তি থাকতোনা যদি পরীক্ষার আগে তাদের সবার কোভিড-১৯ টেষ্ট করিয়ে নিয়ে সবাইকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে বলা হতো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুধু হোষ্টেলে যারা থাকেন শুধু তাদেরই কোভিড-১৯ টেষ্ট করানো হবে। বাকিদের নিজ দায়িত্বে টেষ্ট করতে হবে। এই অবস্থায় রাজ্যের দুই মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারাই করোনা আতঙ্কে ভুগছেন। তারা দাবী তোলেছেন হয় অনলাইনে তাদের পরীক্ষা গ্রহন করা হোক অন্যথা অন্য রাজ্যের মতো সবার কোভিড টেষ্ট করিয়ে নিশ্চিত হয়েই পরীক্ষার হলে ঢুকানো হোক। অথবা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক।