রাজ্য সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছে : শিল্পমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ১৬, : সমাজের সবচেয়ে গরীব ও পিছিয়েপড়া মানুষদের কিভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ দিয়ে সামনের সারিতে নিয়ে আসা যায়, তাদের আত্মনির্ভর করে তোলা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। ১৫ ডিসেম্বর উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের মিশনটিলায় জেলা শিল্পকেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের উদ্যোগে মিশনটিলার আই.টি.আই. সংলগ্ন স্থানে আয়োজিত হয় এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে চাইছেন। রাজ্য সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছে। এরজন্য আমাদের দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে হবে। দেশীয় পণ্য উৎপাদনেও গুরুত্ব দিতে হবে। রাজ্য সরকার শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মাধ্যমে উদ্যোগীদের সাবসিডিতে ঋণ দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। স্বসহায়ক দলগুলিকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগে স্বসহায়ক দলের সংখ্যাও অনেক কম ছিল৷ কিন্তু বর্তমানে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রায় ৫ লক্ষ মহিলা বর্তমানে স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত রয়েছেন। লক্ষাধিক লাখপতি দিদি রয়েছেন। প্রতিটি স্বসহায়ক দলকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে দেশীয় পণ্য উৎপাদনে। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্কিমগুলির সহায়তায় ব্যক্তিগত উদ্যোগীরা ঋণ নিতে পারে। সেই সুযোগ রয়েছে দপ্তরের ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার।
শিল্পমন্ত্রী শ্রীমতি চাকমা আরও বলেন, আগে রাজ্যের ৮টি জেলার মধ্যে ৪টি জেলাতেই জেলা শিল্পকেন্দ্র ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার চাইছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই জেলা শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুলতে। এই শিল্পকেন্দ্রটি গড়ে উঠলে জেলার বেকার ছেলেমেয়েরা উপকৃত হবে। পাশাপাশি এলাকারও উন্নয়ন হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক যাদবলাল দেবনাথ, যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অপর্ণা সিনহা দেবনাথ, কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিংকু শর্মা, ধর্মনগরের মহকুমা শাসক দেবযানী চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা সব্যসাচী দেববর্মা প্রমুখ৷ জেলা শিল্পকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন...