Hare to Whatsapp
তিন মাস ধরে আটক তিন নাবালক উদ্ধার শহরের এক সরকারী কর্মচারীর বাড়ী থেকে
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ১৫, : ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ বা গুরুগ্রাম নয়, এটা শহর আগরতলা। এই শহরের বুক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি ছেলেকে। এদের মফস্বল শহর থেকে ভুলকি ভেলকি দিয়ে নিয়ে আসা হয় রাজধানী আগরতলায়। এনেই এদের ঘরবন্দী। একদিন, দুদিন নয়, পাক্কা তিনমাস। এদের মোবাইলও নিয়ে নেওয়া হয়। গুনধর মালিক মোবাইল গুলি কেড়ে নেয়। আজ নয় তো কাল থেকে কাজে যাবি বলে আসছে। কিন্তু কাজে তো আর যাওয়া হচ্ছে না।
জানাগেছে, গুনধর পিযুস রায় সরকারী কর্মচারী। বাড়ী তার লোটাস ক্লাব এলাকায়। বিশাল বাড়ী হাঁকিয়েছেন। বাড়ীর তিনতলার একটি রুমে গত তিনমাস ধরে এরা আটক। খাবারও ঠিকমত দেওয়া হয়নি। এমনকি খাবার জলও। দূঃসহ জীবন যন্ত্রনা। খবর হল কির্তীমান পিযুস এদের মুম্বাইতে নিয়ে যাওয়ার ফাঁদ পেতেছিল। করোনায় সব ওলট পালট হয়ে যায়। পিযুসও বেকায়দায় পড়ে যায়।
জানাগেছে, মাস খানেক আগে কোন না কোনভাবে খবর চলে যায় চাইল্ড লাইনে। এরা যথারীতি সেখানে যান। কিন্তু পিযুসের দাপটে এদের ফিরে আসতে হয়।
কিন্তু দমে যায়নি চাইল্ড লাইন। এবার তারা কোমড়বেঁধে ময়দানে নামে। পুলিশ নিয়ে চাইল্ড লাইন শুক্রবার বাড়ীতে অভিযান চালায়। দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের অভিযানে উদ্ধার করা হয় তিন নাবালককে। এদের তখন উদ্ধার করা হয় তখন এঁরা প্রায় অসুস্থ। চোখেমুখে নেশার ছাপ। আসলে এদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হত।
এদের এনে পূর্ব থানায় রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। পুলিশ পীযুসকে জিঙ্গাসাবাদ চালাচ্ছে। পুলিশ আশা করছে নাবালকদের কাজের নাম করে ভিন রাজ্যে পাঠানোর চক্র তারা ফাঁস করতেই পারবে।
আসলে এমন কিছু লোকজন রয়েছেন যারা মফস্বল থেকে অভিভাবকদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে নাবালকদের নিয়ে আসছে রাজধানীতে। এদের বিভিন্ন মল, রেষ্টুরেন্টে কাজে দেয়। বেতন-ভাতা কিন্তু এই দালালরা নিয়ে থাকে। রাজধানীতে এরকম নাবালকদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।