সমাজে মহিলারা আত্মনির্ভর হলে এক শক্তিশালী দেশ ও সমাজ গঠন সম্ভব : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ১৪, : মহিলাদের আত্মসম্মান অর্জনে স্বনির্ভরতাই একমাত্র পথ হতে পারে। কিন্তু শুধু নিজে স্বনির্ভর হলেই চলবেনা, আন্যদেরও সেই সুযোগ গ্রহণে সহায়তা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতে মহিলারা হলেন শক্তির প্রতীক। সমাজে মহিলারা আত্মনির্ভর হলে এক শক্তিশালী দেশ ও সমাজ গঠন সম্ভব। ১৩ ডিসেম্বর হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ২০তম আঞ্চলিক সরস মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। এবারের সরস মেলার থিম হল ‘দিদিদের স্বনির্ভরতার পথে, স্বদেশী পণ্যের সাথে'। মেলায় মোট ৪১১টি স্টল খোলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মহিলাদের সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাজ্য সরকার চায় রাজ্যের মহিলাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটিয়ে সমাজকে উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকাল ফর ভোকালের ডাক, মহিলাদের আত্মনির্ভরতার পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। রাজ্য সরকার মহিলাদের আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে স্বসহায়ক দল গঠনের ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছে। এর ফলে বর্তমানে রাজ্যে ৪ লক্ষেরও বেশি মহিলা স্বসহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। স্বসহায়ক দলের মহিলাদের আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে বাজারজাত করা যায় তার জন্য সরকার কাজ করছে। স্বসহায়ক দল উৎপাদিত পণ্যগুলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য প্রচারের উপর জোর দিতে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বসহায়ক দলের দিদিদের গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পণ্যসামগ্রী উৎপাদন ও এর বিপননের জন্য এগিয়ে আসতে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শুধু মহিলাদের স্বনির্ভরতাই নয় তাদের ক্ষমতায়ণ, শিক্ষা, গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধ, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যেও কাজ করছে। মহিলাদের নিরাপত্তায় খোলা হচ্ছে মহিলা থানা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস, মুদ্রা লোন বর্তমানে বাড়ির মহিলাদের নামে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরণের মেলা স্বসহায়ক দলগুলির উৎপাদিত সামগ্রীগুলিকে যেমান বাজার প্রদান করে তেমনি জাতি জনজাতিদের একটি মিলন স্থলে পরিণত হয়। মেলায় ফুটে উঠে মিশ্র সংস্কৃতি ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্বসহায়ক দলের বিভিন্ন সামগ্রী উদ্বোধনের পাশাপাশি টিআরএলএম'র স্মরণিকা প্রত্যাশা এর আবরণও উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, বিধায়ক তথা আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআরএলএম'র সিইও তড়িৎকান্তি চাকমা।
আরও পড়ুন...