Hare to Whatsapp
স্বাধীনতার ৭৪ বছরঃ ত্রিপুরার পাহাড়ে গনবন্টন ব্যবস্হা এখনও অনেকটাই ভঙ্গুর
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ১৫, : এই কবছর আগেও পাহাড় পর্বত কন্দরে দেখা যেত জুমিয়াদের অধিকাংশই নেংটি পড়া থাকত। এরা বাজারে ও আসতেন এই ভাবেই।লেশপেশ হীন। পর্বত দূহিতারা কোনভাবে একচিলতে কাপড়ে বুক ঢেকে বাজার হাটে আসতেন।জুমে বা বাড়ি ঘরে এঁরা শুধু পাছড়া পড়েই থাকত।এটাই ছিল পাহাড়ের চিত্র। খাবার দাবার ক্ষেত্রে ও ছিল অভাবিত সংকট। এই সংকট এমন আকার ছিল অনেকেই সন্তান বিক্রি করে দিতেন।
পানীয় জল সংকট ছিল তীব্র।অপরিশ্রুত জলপান করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে বহু ভূমিপুত্র।পাহাড়ে পরিশ্রুত তো দূরের কথা এমনিতেই জল অধরা।ছঢ়া,নালার জল তাদের ভরসা।এখন হয়তো সেই তীব্রতা নেই।মানে তেমন জল সংকট নেই। কিন্তু এখনও আছে পানীয় জল সংকট।আছে রোগ ব্যাধি।আছে অপরিশ্রুত জলপান করে অন্ত্র ঘটিত রোগে মৃত্যু।
পাহাড়ে স্বাস্হ্য পরিষেবা নাজুক।কাগজে পত্রে বিলকূল সব হ্যায়,মানে স্বাস্হ্যকেন্দ্র, উপকেন্দ্র,ডিসপেনসারী সব আছে।বাস্তবে সব ধূধূ। এই করোনা আবহের মধ্যেও কিন্তু সেনিটাইজার কি, মাক্স কি তা ভূমিপুত্ররা জানেনা। এদের খাবার জুটে না আবার সেনিটাইজার,মাক্স! এ ভূমিপুত্রদের কাছে আকাশ কুসুম কল্পনা।
পাহাড়ে কিন্তু গনবন্টন ব্যবস্হা এখনও অনেকটাই ভঙ্গুর।কারন সংযোগকারী রাস্তা নেই। সংস্কারের অভাবে ধূকছে এইসব রাস্তা। ফলে রেশন যায় না।তা সরকার যত ই বিনাপয়সায় বরাদ্দ করুক না কেন। একেবারেই রেশন পৌছেনা তাও ঠিক নয়।৩০/ শতাংশ জুমিয়া রেশন পেয়ে থাকে। বাকীদের রেশনকার্ড তো এখনও ডিলারের কাছে বন্ধক থাকে। এটাই বাস্তব, ঘটনা।
গ্রামীন বাড়ীঘর সেই বেহাল অবস্হায় এখনো আছে।তা সরকার যত ই উন্নত বলে দাবী করুন না কেন।
তবে এটাতো বাস্তব পার্বত্য এলাকা কিন্তু এখন ২০ বছর আগেকার মতো নেই। আর্থ সামাজিক ব্যবস্হার কমবেশী পরিবর্তন হয়েছে।বলা চলে পাহাড় এখন ধীরে হলেও হাঁটতে শুরু করেছে। আগামী দিনে হয়তো উন্নয়নের রথ খুড়িয়ে হলেও চলতে শুরু করতে পারে।এখন কিন্তু ভূমিপুত্ররা আর নেংটি পড়ে সমতলে আসেনা,দুহিতারা বুক ঢেকেই চলাচল করে। পরিবর্তন আসবে হয়তোবা কিন্তু ?