Hare to Whatsapp
উন্নয়ন, রাস্তা সংস্কারের জন্য খোয়াই জেলাবাসী মুখিয়ে আছে
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ১১, : এই ভয়ংকর করোনা আবহের মধ্যেও উন্নয়নের জন্য মুখিয়ে খোয়াইবাসী। এরা চাইছেন মোটামুটি স্বাস্হ্য পরিষেবা, সুষম গনবন্টন ব্যবস্হা, সংযোগ রক্ষাকারী গ্রামীন সড়কের মেরামতি বা সংস্কার, গ্রামীন জলসেচ, কৃষির জন্য উদ্যোগ, স্কুলকলেজের পঠনপাঠন চালু, গ্রামীন বাজার বা ষ্টল গুলির ব্যাপক সংস্কার।খোয়াই মহকুমা বর্ধিষ্ণু গ্রাম এলাকা হিসাবে কোন এক সময় পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন সম্ভবত সেই পরিচিতি আর নেই। অনেকেই রাজধানী মুখী হয়েছেন। ওখানে বাড়ীঘর করেছেন। মূল শহরের দু দিকে যে সব দোকানপাট দেখে মনে হয় সেগুলো ধূকছে। বেচাকেনা নেই বলা চলে।দোকানীদের কজন বললেন গ্রামের লোকজনের আসা যাওয়া অনেক কম। ওরা না আসলে বেচাকেনা কিভাবে হবে। ওদের হাতেও অর্থ নেই। আবার গ্রামে কাজ নেই। সাধারণ মানুষের রোজগারের পথ বন্ধ। তবে রেশন পাচ্ছেন।খোয়াইর পুরাতন বাজার কোন ভাবে অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। বাজার প্রায় খাঁ খাঁ করে।এটা অবশ্য গত ৫ বছর ধরেই চলছে। তবে সরকার পূনরায় জীবনের উদ্যোগ নিলে আগের মত প্রান ফিরে পেতে পারে।বিস্তৃর্ণ ফসলের জমি জলের জন্য মুখিয়ে আছে। বৃষ্টি হলেই কৃষক মাঠে নামবে। সেই অপেক্ষায় ওরা।চাম্পাহাওর, তুলাশিখড়, গৌরনগর ব্লক এলাকার শতশত একর ধানের জমি পতিত পড়ে আছে। কবে বৃষ্টি হবে তার নিশ্চয়তা নেই। আছে শুধুই হতাশা। অথচ জলসেচের ব্যবস্হা ছিলপাম্প হাউস গুলো অতীতের স্মৃতি বহন করছে।জলসেচ ব্যবস্হা পুনরুদ্ধার হলে গোলা ভরত, আসত সোনা।চাষীরা জমির পাশে সকাল বিকাল বসে থাকেন, তাকিয়ে থাকেন আকাশের দিকে। যদি আসে বৃষ্টি। পোড়াকপাল এদের। বৃষ্টি আসেনা, সেচেরও জল নেই। চাষীদের বুক ফেটে যায়।জলসেচ ব্যবস্হা পুনরুদ্ধার প্রয়োজন।অন্যথায় সংকট নেমে আসবে।এদিকে কারো খেয়াল আছে বলে তো মনেই হয়না। চাষী, কৃষকরা হতাশার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন।গ্রামীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভঙ্গুর।একা চলারও সুযোগ নেই। সড়ক গুলি কোন সংস্কার হচ্ছে না বছর তিনেক ধরে। ফল যা হবার তাই হচ্ছে। চলাফেরা করা দায় হয়ে উঠেছে।মোদ্দা কথা উন্নয়ন, সংস্কারের জন্য জেলা সদরবাসী মুখিয়ে আছে।