Hare to Whatsapp
সুপ্রিম কোর্টের রায়-এর পাচদিন পরেও রাজ্য সরকারের নিরবতায় ছাটাই ১০৩২৩ শিক্ষক মহলে উদ্বেগ
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ৯, : সুপ্রিম কোর্টের রায় এসেছে আজ পাচদিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে, কিন্তু ১০৩২৩ চাকুরি মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের নিরবতায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে দিয়েছে। ছাটাই শিক্ষক কর্মচারীদের আন্দোলনে যে ক’টি সংগঠনের জন্ম নিয়েছিল প্রতিটি সংগঠনের নেতা ও সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যরাই চাইছেন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায় নিয়ে কি ভাবছেন অচিরেই তা জনসমক্ষে নিয়ে আসুক রাজ্য সরকার।
জানাগেছে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের চূড়ান্ত রায়-এ রাজ্য সরকারের বিকল্প কর্মসংস্থান নিয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট তাতে কোথাও তাদের আপত্তির কথা বলেননি। উল্টো সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে শিক্ষকদের তরফে বিকল্প চাকুরী গুলি তাদের পক্ষে সম্মানজনক হবেনা বলে যা বলা হয়েছিল তা কোনভাবেই সঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্ট মনে করে বিকল্প পোষ্ট গুলি কোনাভাবেই তাদের পূর্বের চাকুরীর থেকে ‘ডি-গ্রেডেড’ পদ নয়। এটা ভাবার কোন কারন নেই।
সুপ্রিম কোর্টের পাচ তারিখের চূড়ান্ত রায় নিয়ে ছাটাই শিক্ষক সংগঠন গুলির তরফেও এখনো পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি। তবে বিভিন্ন মহলে যে সব বক্তব্য তারা রাখছেন তার থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে ছাটাই শিক্ষক সংগঠন গুলিও চাইছেন ‘যেহেতু সুপ্রিম কোর্টও তাদের বিকল্প চাকুরীতে বাধা সৃষ্টি করেনি’ তাই রাজ্য সরকার এক্ষনে ছাটাই শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র বিভিন্ন পদে চাকুরী দিয়ে দিক। তবে তা যেন রেগুলার স্কেলে এবং অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে হয় সেই দাবী তারা ইতিমধ্যেই তোলেছেন।
এক ছাটাই শিক্ষক নেতা আজ জানান, ছাটাই শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋন নিয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা বা অন্য অনেক ব্যাপারে ঋন গ্রস্থ হয়ে রয়েছেন। ব্যাঙ্ক গুলির তরফেও চাপ দেওয়া হচ্ছে কিস্তির টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিক এটাই তারা চাইছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষনার পাচদিন পরও রাজ্য সরকার এবং রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ-এর তরফে এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য কোথাও না দেখে ছাটাই শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে একটা চরম অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। আদৌ রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত বিকল্প কর্মসংস্থানের পথে হাটবে কিনা এনিয়ে তাদের মধ্যে একটা সংশয় সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে গেছে।