Hare to Whatsapp
শিশুদের মৃত্যর মিছিল রোধে ইউনিসেফের আহ্বান, সতর্কতা জারি
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ৩, : ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে গোটা বিশ্ব জুড়ে যে মহামারী অব্যাহত রয়েছে তাতে ভয়ংকর বিপাকে পড়েছে স্কুল কলেজের পড়ূয়ারা।বিশেষ করে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণীর কচিকাঁচা।আয় উদ্বেগজনক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় অভিভাবকদের পক্ষে পুষ্টিকর খাবার আনা সম্ভব হচ্ছে না।মহাফ্যাসাদে পড়েছে কচিকাঁচা সন্তানরা। পুষ্টির অভাব দেখা দিয়েছে কচিকাঁচাদের।
ইউনিসেফ বলছে স্রেফ পুষ্টিকর খাবারের অভাবে প্রতিমাসে ১০,০০০ শিশু মারা যেতে পারে।এই উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ। এর কারন হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্হা যারা শিশু, কচিকাঁচাদের সর্বাঙ্গীন কল্যান নিয়ে কাজ করে থাকে , তাঁরা বলছে করোনা মহামারী বিশ্বকে স্তব্দ করে দিয়েছে। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুরা যেমন মানসিক দিকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তেমনি তাদের আরো বিপাকে ফেলেছে পূষ্টিকর খাদ্যের অভাব।অভিভাবকরা আয় কমে যাওয়ায় পুষ্টিকর খাদ্য আনতেই পারছেনা। শিশু, কচিকাঁচারা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।এই অবস্থায় তাঁরা সমীক্ষা করে দেখেছে প্রতিমাসে অন্তত দশহাজার শিশু পুষ্টিকর খাবারের অভাবে মারা যাবে।
আরো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু থাকলে শিশুরা যেমন হাসিখুশি থাকতে পারে ঠিক তেমনি স্কুলের সরবরাহ করা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে।এতে এদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটে তেমনি শারীরিক উন্নতি ও হয়ে থাকে।স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিল পাচ্ছে না এরা।কবে স্কুল খুলবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের সাথে ইউনিসেফ কথা বলছে। অবিলম্বে সতর্কতা মূলক ব্যবস্হা নিয়ে স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। এঁরা বলেছে কিছু কিছু দেশ স্কুল খুলে দিয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে সংক্রমণ রোধে যথাযথ আগাম ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে।কি সব ব্যবস্হা তাও ইউনিসেফ বলে দিয়েছে।
ইউনিসেফ আরো বলছে মায়েদের জন্য কল্যানমূলক ব্যবস্হা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাদের ভিটামিন সি জাতীয় ওষুধ সরকারীভাবে সরবরাহ করতে হবে। কেননা মায়েদের স্বাস্হ্যকর খাবার দেয়া না হলে তাদের পক্ষে শিশুদের দেখভাল করা সম্ভব হবে না।
ইউনিসেফর উদ্বেগ নিয়ে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে। তবে ইউনিসেফ শিশুদের জন্য মাল্টিভিটামিন যুক্ত খাবার সরবরাহের উপর অতি গুরুত্ব দিয়েছে। কেননা এদের অকাল মৃত্যু রোধে এটা সবার আগে প্রয়োজন।