উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য সুসংহত, সব ঋতুর উপযোগী মাল্টিমডেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৪, : উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে লজিস্টিক্স ব্যয়, পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহাকে আহ্বায়ক করে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্সের দ্বিতীয় বৈঠক ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রকের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রকের মন্ত্রী ছাড়াও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহমা, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যসচিব, সিকিমের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব সহ ডোনার মন্ত্রক এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনায় অংশ নেন। ত্রিপুরা ইনস্টিটিশন ফর ট্রান্সফরমেশন কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, পরিকল্পনা দপ্তরের সচিব এল টি ডার্লং, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা ড. দীপক কুমার সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও উচ্চ লজিস্টিক্স ব্যয়, যোগাযোগ সমস্যা এবং পরিকাঠামোগত ঘাটতি এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে একটি সমন্বিত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার অধীনে একত্রিত করে, যাতে এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতাগুলিকে পদ্ধতিগতভাবে মোকাবিলা করা যায়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্সের প্রথম সভার আলোচনাকালে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির তরফ থেকে উত্থাপিত সমস্যাসমূহ এবং এর প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশদভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য সুসংহত, সব ঋতু উপযোগী মাল্টিমডেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় একান্ত প্রয়োজন। পাহাড়ি ভূখন্ড ও জলবায়ুগত বিপর্যয়, শিলিগুড়ি করিডোরের উপর অধিক নির্ভরতা, প্রান্তিক এলাকায় (last mile) সড়ক ও রেল সংযোগের ঘাটতি, কম সংখ্যক বিমান চলাচল, সীমিত পন্য পরিবহণ, পাহাড়ি রাজ্যগুলির ছোট রানওয়ে, অব্যবহৃত জলপথ, ফরেস্ট ক্লিয়ারেন্স ও জমির প্রাপ্যতা সংক্রান্ত ইত্যাদি এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির অন্যতম প্রধান সমস্যা। এই প্রেক্ষাপটে সড়ক, রেল, বিমান, জলপথ ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর সমন্বিত উন্নয়নের পাশাপাশি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের প্রসার ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ মডেলকে আরও শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরী। মুখ্যমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, আজ টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে আলোচিত মতামতগুলি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত পূর্বোত্তর গঠনের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
বৈঠকে আলোচনায় ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য মেক্রো গ্রেড, কমন ট্রেড করিডোর, পাওয়ার ট্রান্সমিশন করিডোর গড়ে তোলার পাশাপাশি এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করার উপরও গুরুত্ব-আরোপ করেন।
আরও পড়ুন...