Hare to Whatsapp
কোভিড কেয়ার সেন্টার গুলিতে দৈনিক জন প্রতি ৩৮০ টাকা শুধু খাবারেই বরাদ্দ, কিন্তু তার পরও অসময়ে নিম্নমানের খাবার কেন তদন্তের দাবী উঠেছে
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ১, : রাজ্য সরকার বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকা রোগীদের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ফ্রুটস, ডিনার ইত্যাদির জন্য রোগী প্রতি দিনে ৩৮০ টাকা করে বরাদ্দ রেখেছে। কি কি দিতে হবে তাও বলে দিয়েছে। কিন্তু অল্প কিছু অসাধু ক্যাটেরারদের অতিলাভ করার প্রবণতার জন্য মাঝেমাঝেই বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকা রোগীদের কাছ থেকে খাবারদাবারের মান নিয়ে অভিযোগ আসছে। এইসব ক্যাটেরারদের উপর কড়া নজরদারী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। নাহলে এদের জন্য সরকারের আরও বদনাম হতে পারে।
অভিযোগ, শাসক দলের নাম করে কিছু ক্যাটেরার লুটেপুটে খাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এসব কোভিড সেন্টারে থেকে এসেছেন এমন একাধিক রোগী ফিরে এসে কোভিড সেন্টার গুলোর নানা অব্যস্হার কথা জানিয়েছেন। তারা এটাও জানিয়েছেন, প্রতি রোগী দিনে ৩৮০ টাকা কম নয়। ইচ্ছে করলে খুব ভালো না হলেও মোটামুটি ভালো খাবার দেওয়া যায়। কিন্তু দেওয়া হচ্ছেনা। অথচ দিনের কখন কি খাবার দিতে হবে প্রশাসনিক ভাবে তা লিখিত ভাবেই বলা আছে। বরাত নেওয়ার আগে এসব খাবার সরবরাহকারীরা সেই অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েই বরাত নেয়। কিন্তু দুই তিন দিন ঠিকঠাক খাবার সরবরাহ করার পরই অতি মুনাফার লোভে নিম্ন মানের ও অসময়ে খাবার সরবরাহ হতে থাকে।
রাজধানীর ভগৎসিং, সিপার্ড ও স্পোর্টস স্কুলের কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে সবচেয়ে বেশী এমন অনিয়মের অভিযোগ আসছে। প্রশাসনিক ভাবে হঠাৎ করে তদন্তে গেলেই অনিয়ম হাতেনাতে ধরা যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন এসব কোভিড সেন্টার ফেরৎ অনেক পুরানো রোগী। তাদের আরও অভিযোগ, প্রতিদিন কোভি্ড কেয়ার সেন্টার গুলীতে সেনিটাইজেশনের কথা থাকলেও তা হচ্ছেনা। এমনকি বাথরুম লেট্রিন গুলী পর্যন্ত নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছেনা। ভগৎসিং কোভিড কেয়ার সেন্টারে গুলোতো এনিয়ে একাধিক দিন রোগীরা রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তার পরেও কোন কাজ হচ্ছেনা। তাই করোনা আক্রান্ত রোগীরা কোভিড কেয়ার সেন্টার গুলীতে যেতে হবে শোনলেই পারলে পালাতে চান।