এইডস মুক্ত সমাজ গঠন করার ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ২, : এইডস মুক্ত বা নেশামুক্ত সমাজ গঠন করা শুধুমাত্র সরকার বা প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার এবং প্রশাসনকে সাহায্য করতে হবে। আগামী প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুল, কলেজ, সামাজিক সংস্থা, বিভিন্ন ক্লাবকে নেশামুক্ত, এইডস মুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। ১ ডিসেম্বর মহারাজা বীরবিক্রম বিশ্ব বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এইডস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোন ব্যক্তি এইডস আক্রান্ত হলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা যায় না। চিকিৎসার মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখা যায়। এইডস আক্রান্তকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা না গেলেও রোগের বিস্তার ঠেকানো যায়। বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণের মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীতে এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশেও ২০১০ সালের তুলনায় বর্তমানে এইডস রোগে আক্রান্তের হার প্রায় ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এইডস প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য যে গ্রেড চালু করেছে তাতে ত্রিপুরা গ্রীণ জোনে আছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের রাজ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এইডস মুক্ত সমাজ গঠনের জন্য ছাত্র ও যুব সমাজকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি এবিষয়ে অন্যকেও সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যে এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি তাদের উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পুরস্কৃত হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উত্তর ত্রিপুরা, গোমতী ও ধলাই জেলার ৩টি ক্যানসার কেয়ার সেন্টার, ২৬টি ওএসটি সেন্টার এবং এফআইসিটিসি টেস্টিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে রাজ্যে এবং দেশে এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে। বক্তব্য রাখেন এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিভাস দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. বিনিতা চাকমা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার নমিত পাঠক, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. দেবাশ্রী দেববর্মা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এইডস রোগ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দুইজনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য ৫ জনকে এবং বিভিন্ন কলেজকে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কৃত করেন। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বাস্থ্য সংবাদ ম্যাগাজিনের আবরণ উন্মোচন করেন। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন...