Hare to Whatsapp
করোনা মহামারীর অফিসিয়েল তথ্যের অভাবে বিভ্রান্তি বাড়ছে, মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট বন্ধ কেন প্রশ্ন উঠেছে
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ৩১, : গত দু’দিন ধরে করোনা মহামারীর তথ্য নিয়ে সাংবাদিক মহলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আগে প্রতিদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজে তার ফেসবুক পেজে কিংবা ট্যুইটার এ করোনা মহামারীর সর্বশেষ আপডেট দিতেন। রাজ্যের কোন জেলায় কতজনের টেস্ট হয়েছে, কতজনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বা কোন মৃত্যু হয়েছে কিনা এসব তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইটার বা ফেসবুক পেজ থেকেই জানা যেতো। কিন্তু গত দুদিন ধরে হঠাৎ করে কেন মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করা বন্ধ করে দিলেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
এছাড়া সরকার নিয়ন্ত্রিত যে ক’টি ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল সাংবাদিকদের নিয়ে সেখানেও গত দু’দিন ধরে কোন কোভিড আপডেট দেওয়া হচ্ছেনা। এন এইচ এম, রাজ্য আই সি এ দপ্তর এবং সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকেও পৃথক ভাবে বেশ কয়েকটি ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালানো হতো। অধিকাংশ সাংবাদিকরাই এসব গ্রুপ থেকে কোভিড আপডেট পেয়ে যেতেন। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এসব ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হলো কেউই তা স্পস্ট করতে চাইছেন না।
এসম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে অধিকাংশ গ্রুপের এডমিনদেরই বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে যোগাযোগ করুন। আবার কেউ কেউ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী অফিস থেকে নিষেধ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোভিড মহামারী নিয়ে যা বলার মুখ্যমন্ত্রীই নাকি বলবেন। তাই তারা এ ব্যপারে কিছু বলবেন না।
তাছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য হলো সরকারি সার্কুলার রয়েছে সচিব পদ মর্যাদার নীচে কোন অফিসার কিছু বলতে পারবেন না। এবং কোভিড নিয়ে যা বলার তা সরকারীভাবে মুখ্যমন্ত্রীই বলবেন। অন্যথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ-এর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রী রতন নাথও সম্প্রতি প্রতিদিন আগের মতো প্রেস ব্রিফিং করেন না। উনার যেদিন সময় হয় সেদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাছাড়া তিনি সব সময় সাংবাদিকদের সব তথ্য দিতে পারছছন না। উনার কথার বাইরে কিছু জানতে চাইলে বলে দেন আমার কাছে তথ্য নেই। খোঁজ নিয়ে বলবেন। এর পর দুদিন আর উনাকে খোজে পাওয়া যায়না।
তাই সাংবাদিক মহলে দাবী উঠেছে সরকার যেন প্রতিদিন অন্তন দুইবার দু’টি লিখিত বুলেটিন চালু করেন তথ্য দপ্তরের মাধ্যমে। বা মুখ্যমন্ত্রীর অফিস কিংবা স্বাস্থ্য দপ্তরও এই বুলেটিন তৈরি করে বিভিন্ন ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বা সামাজিক মাধ্যমে দিতে পারেন। অন্যথায় নিকট দিনে করোনা মহামারীর বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়বে বৈ কমবে না।
এব্যাপারে ত্রিপুরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার বলেছেন, এমনিতেই সামাজিক মাধ্যমে দিনভর নানা রকম গুজব রটানো হচ্ছে। কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে তা করছেন তো কেউ না জেনে বা প্রকৃত তথ্যের অভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছেন। তাই এই মুহুর্তে অফিসিয়াল সরকারি প্রকৃত তথ্য আরও বেশী কর জনসমক্ষে যাওয়াটা খুবই প্রয়োজন বলে তিনি জানান । অন্যথায় জনমনে বিভ্রান্তি বাড়বে বলে দেবাশীষ মনে করেন। এবং
তার আরও অভিমত, রাজ্য সরকার ইচ্ছা করলে তাঁদের সংশ্লিস্ট বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালগুলিতেও প্রকৃত তথ্য ২৪x৭ আপডেট করতে পারেন। বা আই সি এ দপ্তরের অনুমোদন প্রাপ্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলিতে দ্রুত বিভিন্ন তথ্য আপডেট করার জন্যে পাঠাতে পারেন। কেননা, এক্ষনে যেভাবে একদিন দু’দিন বাদে মন্ত্রী প্রেস ব্রিফিং করছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী তার সামাজিক মাধ্যমে হয়তো ব্যস্ততার কারণে যথাযথ ভাবে আপডেট করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা চলতে থাকলে সামাজিক মাধ্যমে শুধু ভুল তথ্যই যাবেনা, এবং ফলে যে কোন সময় গুজব জনিত বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে বলেও তিনি অভিমত দেন।