এক টাকায় চারা গাছ বিলি করবে ত্রিপুরা সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৩০, : রাজ্যে বনায়ন বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর অঙ্গ হিসেবে সরকার ইতিমধ্যেই নানা ধরনের চারা উৎপাদন করেছে। সরকারের কাছ থেকে এইসব চারা গাছ সহজেই নিতে পারবে যে কোন ব্যক্তি। জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন জৈব বৈচিত্র রক্ষা বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর সাথে সমাজ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে এ বার সরকার বহু চারা উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাঁশ,কাঁঠাল,আমলকি,হরতকি,বয়রা,চালিতা, মেহগনি সহ অন্যান্য। পলিব্যাগ নার্সারি সরকার বিক্রি করবে। রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকার,স্বশাসিত সংস্হা গুলি পলিব্যাগ প্লান্ট নিতে পারবে। বেসরকারি উদ্যোগপতিরাও এসব নিতে পারবেন। এই সব পলিব্যাগ প্লান্ট সাধারণত যেসব জায়গা খালি সেখানে লাগাতে হবে। তেমনি অন্যান্য স্হানে ও রোপন করা হবে। সরকার নিজেও বনায়ন বৃদ্ধির উদ্যোগ চালিয়ে যাবে।
বিভিন্ন তথ্য দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন নামমাত্র মূল্যে এইসব পলিব্যাগ প্লান্ট সরবরাহ করা হবে। এতে নিঃসন্দেহে রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জৈববৈচিএ রক্ষা বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে বনদস্যুরা রাজ্যের বনপাহাড় সাবার করে দিয়েছে। মূল্যবান গাছগাছালী কেটে নিয়েছে।নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। জম্পুই, লংতড়াই,আঠারমুড়া,দেবতামুড়া আজ রুক্ষ। সবুজের চিহ্ন নেই। বাঁশবাগান আজ প্রায় উধাও।অন্যদিকে কড়ুল খাওয়ার নামে বাঁশ বাড়তেই পারেনা।অন্যদিকে জুমের জন্য আজ পাহাড় জুড়ে রুক্ষতা। সবুজ আজ হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সবুজ ফিরে পেতে বনায়ন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত খুব প্রশংসনীয়।