Hare to Whatsapp
স্কুলশিক্ষায় বড়সড় পরিবর্ত আনল কেন্দ্র, দশম ক্লাশ পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছেনা
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ৩০, : নয়া শিক্ষানীতির সৌজন্যে উঠে যাচ্ছে ১৯৬৮ সালে চালু হওয়া স্কুলশিক্ষার পুরোনো ১০+২ মডেল। এখন নতুন পদ্ধতি ফিরতে চলেছে স্কুল শিক্ষায়। ৫+৩+৩+৪ মডেল কার্যকর হবে বলে নয়া শিক্ষানীতিতে। অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
আগে ১০+২ মডেলে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ধরা হত। নতুন শিক্ষানীতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ধারনা তুলে দেওয়া হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিককে মাধ্যমিকস্তরে ধরা হচ্ছে। এখানে পড়ুয়াদের বয়স চারটি ভাবে ভাগ করা হয়েছে। ৩ থেকে ৪ বছর, ৮ থেকে ১১ বছর, ১১ থেকে ১৪ বছর, ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত পড়ুয়াদের শ্রেণি বিন্যাশ করা হয়েছে। প্রাক প্রাথমিকেও দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ৩ বছর পর্যন্ত গ্রেড-১, দু’বছরে গ্রেড-২। এর পর তিন বছর প্রস্তুতিমূলক স্তরের গ্রেড ধরা হয়েছে ৩,৪,৫ করে। পরের তিন বছরে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে গ্রেড ধরা হয়েছে ৬,৭ ও ৮। সবশেষে চার বছরের মাধ্যমিকস্তর। দেওয়া হয়েছে ৯,১০,১১ ও ১২। এভাবেই ৫+৩+৩+৪ পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
নয়া শিক্ষানীতিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ৮টি সেমিস্টার নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের নয়া নীতিতে দ্বাদশ শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৮টি সেমিস্টারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পদার্থবিদ্যা, রসায়নের মতো বিষয় নিয়ে পড়লেও ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নয়া নীতিতে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে মাধ্যমিক। স্নাতকে অনার্স কোর্স চার বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নতুন শিক্ষানীতিতে আরও বলা হয়েছে, স্কুলের আগে তিন বছরের প্রাক-স্কুল শিক্ষা রাখা হচ্ছে। ১০+২ স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বদলে ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি প্রস্তুতিপর্ব হিসাবে ধরা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি মাঝারি পর্বের শিক্ষা বলে ধরা হচ্ছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি মাধ্যমিক শিক্ষা হিসাবে ধরা হচ্ছে। প্রতিবছর দু’টি সেমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বলে আর কিছুই থাকবে না। পাঠ্যক্রমে সামগ্রিক শিক্ষা, যুক্তিবাদী ভাবনা, সৃজনশীলতা, দলগত ভাবে কাজ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, একাধিক ভাষা শিক্ষা ও ডিজিটাল শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন বছরের বদলে চার বছরের অনার্সের স্নাতক স্তর হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। দু’বছরের ডিপ্লোমা, তিন বছরের অনার্স ছাড়া ব্যাচেলার ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।