ইন্ডিয়ান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ৩১-তম বার্ষিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২৩, : রাজ্য সরকার শিশু এবং মায়েদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে শিশু চিকিৎসকদেরও বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। কারণ শিশুদের স্বাস্থ্যের বিকাশে শিশু চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। গত ২২ নভেম্বর, সোনারতরী হোটেলে ইন্ডিয়ান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ৩১-তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ত্রিপুরা রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে রাজ্যের শিশু চিকিৎসক ডা. পার্থ সারথী চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। ২০২৫ সালের এমবিবিএস পরীক্ষায় পেডিয়াট্রিক্স বিভাগে শ্রেষ্ঠ নম্বরের অধিকারীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাদের হাতে সম্মাননা স্বরূপ উপহার তুলে দেন। এছাড়াও সম্মেলন উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। ফলে বহিরাজ্যে রেফারেল রোগীর সংখ্যা আগের থেকে অনেক হ্রাস পেয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ণ করছে। তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলনে অনেক নতুন নতুন বিষয় আলোচনায় আসবে যা আগামীদিনে শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এই সম্মেলন শিশুরোগ চিকিৎসকদের আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে তিনি সুস্থ শৈশব ও সুস্থ কৈশোর অভিযান, স্টপ ডায়ারিয়া ক্যাম্পেইন, শিশুর হৃদরোগের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য স্ক্রিনিং পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ, স্কুল হেলথ মিশন, মুসকান সার্টিফিকেশান, শিশু মৃত্যু হার হ্রাস ইত্যাদি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. সুজিৎ কুমার চক্রবর্তী (অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান, ট্রাইপেডিকান)। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডা. অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ডা. গোপা চ্যাটার্জি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. দেবশ্রী দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, মেডিক্যাল এডুকেশন দপ্তরের অধিকর্তা ডা. এইচ পি শৰ্মা প্রমুখ।
আরও পড়ুন...