Hare to Whatsapp
উত্তর-পূর্ব ভারতে কর্ম সংস্থান সৃষ্টির জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা গ্রহন করবে: মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১, : জনকল্যাণমূলক বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সিতারমনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেব বলেছেন, এটি নতুন ভারতের আকাঙ্ক্ষার বাজেট। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মাধ্যমে উত্থাপিত এই সাধারণ বাজেট, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার একটি বাজেট । এতে কৃষক, গ্রাম, দরিদ্র ও নারীদের অগ্রগতির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, আয়করে বড় ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্ত এবং চাকরিজীবীদের উপহার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় এই বাজেট কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। এই বাজেট মন্দা মোকাবেলায় সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত হবে। বাজেটে গৃহীত পদক্ষেপগুলি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে, একই সাথে বুনিয়াদি পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, কেন্দ্রীয় কর থেকে রাজ্য যে পরিমাণ অর্থ পাবে, তা বড় পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। বাজেটে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। উত্তর পূর্ব ও ত্রিপুরার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে কিষাণ উড়ান ও কিষাণ রেল যোজনা সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত হবে। অর্থমন্ত্রী এমজিএন রেগার বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৬০,০০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৭১০০০ কোটি টাকা করে গরীবের স্বার্থে কাজ করেছেন।
গ্রামীণ অর্থনীতিকে জোরদার করতে ১০০ টি জেলায় প্রধানমন্ত্রী কুসুম প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২০ লক্ষ কৃষককে সৌর পাম্প সরবরাহ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতে ত্রিপুরার বিপুল সংখ্যক কৃষকও উপকৃত হবেন। রাজ্যের সর্বাধিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা ধলাইয়ের স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে সহায়তা করবে এই বাজেট। বাজেটে পর্যটন ক্ষেত্রকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা উত্তর-পূর্ব ভারতে কর্ম সংস্থান সৃষ্টির জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা গ্রহন করবে।