রাজ্য সরকার জাতি-জনজাতি সহ প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বদ্ধপরিকর : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২৩, : বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই হচ্ছে ভারতবর্ষের অন্যতম পরিচয়। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নানা বৈচিত্র থাকা সত্বেও রয়েছে ঐক্যের দৃঢ় মেলবন্ধন। কৃষ্টি-সংস্কৃতির আদান প্রদানের মধ্য দিয়েই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ঐক্যের সত্তা বজায় রয়েছে। গত ২২ নভেম্বর, অভয়নগরস্থিত পুথিবা দেবতা বাড়ির নবনির্মিত পাকা মন্দির গৃহের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, এই মন্দিরের পাকা ভবন নির্মাণে সরকারিভাবে ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মণিপুরীদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি অতি প্রাচীন এবং দেশের ঐতিহ্য। রাজ্যে মণিপুরীদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ইতিহাস রাজন্য আমলের সাথে জড়িত। রাজ্য সরকার জাতি-জনজাতি সহ প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মণিপুরীদের নৃত্য, নাটক, হস্ততাঁত শিল্প বিদেশেও প্রসিদ্ধ। এটা দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। রাজ্য সরকার রাজ্যে বসবাসরত মণিপুরীদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে চলেছেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে রাজ্যে জাতি জনজাতি সহ প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে।বিশেষ অতিথির ভাষণে মণিপুরের সাংসদ (রাজ্যসভা) লেইসেমবা সানাজাওবা বলেন, কৃষ্টি- সংস্কৃতি আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরার সাথে মণিপুরের ঐক্য এবং পারিবারিক সম্পর্ক রাজ আমল থেকেই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মণিপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক সুচিন্দ্র মেইতেই, পুথিবা ওয়েলফেয়ার ও কালচারাল সোসাইটির সম্পাদক দীপক কুমার সিনহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, বিশিষ্ট সমাজসেবী পাপিয়া দত্ত, পুথিবা ওয়েলফেয়ার ও কালচারাল সোসাইটির উপদেষ্টা নিরঞ্জন দত্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মণিপুরের সাংসদ, বিধায়কগণ এবং পুথিবা ওয়েলফেয়ার ও কালচারাল সোসাইটির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
আরও পড়ুন...