দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুবাদের ভূমিকা অপরিসীম : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২২, : আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের সম্পদ। এই ধরণের ফেস্টিভেলের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের সংস্কৃতির এক মেলবন্ধন হয়। এই ধরণের আয়োজন মৈত্রী ও সংস্কৃতির বিনিয়ময়ের একটি স্থল। গত ২১ নভেম্বর ২০২৫, স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে যুব বিকাশ কেন্দ্র ও বাজাজ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৪র্থ বর্ষ আন্তর্জাতিক হেরিটেজ ফেস্টিভেলের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুব সম্প্রদায় হল ভারতবর্ষের প্রধান সম্পদ। প্রতিটি ক্ষেত্র সুসংহত রেখে যুবাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে দেশ দ্রুত বিকশিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, দেশের ৬২ শতাংশ যুবাদের সঠিক পথে চালিত করতে পারলে গড়ে উঠবে এক উন্নত ভারত। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুবাদের ভূমিকা অপরিসীম। যুব সমাজকে দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি সদা জাগ্রত থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সেজন্য ৭৫ সীমান্ত গ্রাম বীর কে নাম দেশের স্বাধীনতা সংগ্রমে প্রতিটি যোদ্ধাদের স্মরণে প্রচলন করেন। এক পের মা কে নাম এই কর্মসূচির সূচনা করেন। হর ঘর তিরঙ্গা, বন্দে মাতরম অনুষ্ঠানের সূচনা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গ্রহণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ও সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই দেশ সঠিক দিশায় এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরায়ও চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরার জন্যই বরাদ্দ ১৫০০ কোটি টাকা। রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রয়েছে বলেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এবং দেশের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরাও রাজ্যের প্রশংসা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, শান্তি সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার কোন ধরণের আপোষ করবে না। আইন আইনের পথেই চলবে। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্য ও বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যুবা প্রতিনিধিদের রাজ্যের পর্যটন স্থানগুলি ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। মুখ্যমন্ত্রী আগত যুবা প্রতিনিধিদের নিজেদের মধ্যে সংস্কৃতি ও ভাষার বিনিময় করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, দিল্লির যুব বিকাশ কেন্দ্রের সিইও উদয় শংকর সিং, বাজাজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অপূর্ব বাজাজ, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, আয়োজক কমিটর চেয়ারম্যান তপন লোধ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি দেবাশিস মজুমদার। ফেস্টিভেলে দেশের ২৬টি রাজ্য থেকে ৪০০ জন ও ৭টি দেশের ১৭ জন যুবা প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিটি রাজ্য থেকে ও ৭টি দেশের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারক প্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানান। মুখ্যমন্ত্রী যুব বিকাশ কেন্দ্রের বরিষ্ঠ প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। ফেস্টিভলকে কেন্দ্র করে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে বিভিন্ন প্রদর্শনী মন্ডপ খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন...