Hare to Whatsapp
যারা সার্ভে করতে যাচ্ছেন তারা করোনা মুক্ত কিনা প্রশ্ন তোলে বহু জায়গায় বাধা!
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ২৮, : গ্রামে করোনা রোগী আছে কিনা এনিয়ে রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা কর্মসূচীর শুরুর প্রথম দিনে রাজ্যের কম করেও কুড়িটি জায়গায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন সমীক্ষা কর্মীরা। অধিকাংশক্ষেত্রেই বাধা এসেছে এডিসি এলাকা কিংবা এডিসি সন্নিহিত উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায়। শহরাঞ্চলেরও বেশ কিছু জায়গায় সার্ভে দলকে সাধারণ মানুষের নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। শহরাঞ্চলের অনেক জায়গায় অনেক শিক্ষিত লোকজন সার্ভে কর্মীদের বাড়ীঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাদের প্রশ্ন- যারা সার্ভে করতে এসেছেন তারা যে করোনা মুক্ত তার কি প্রমান রয়েছে।
জানাগেছে, এডিসি সদর দপ্তর খুমলুং-এর আশপাশ এলাকা, মান্দাই, জম্পুইজলা, টাকারজলা, জিরানিয়া খোলা, জয়নগর, মুঙ্গিয়াকামী-র রঙ্গীটিলা, গন্ডাছড়া, রইস্যাবাড়ী, কমলপুরের অপরেশকর, তুলাশিখর পদ্মবিল, চন্ডিপুর এর গোলকপুর এডিসি ভিলেজ এলাকায় সবচেয়ে বেশী প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে সার্ভে দলকে।
একই ভাবে, শহরাঞ্চলের মধ্যে আগরতলার কৃষ্ণনগর, জয়নগর, দূর্গাচৌমুহনী সন্নিহিত সীমান্ত এলাকা, উদয়পুর, কৈলাসহর, ধর্মনগর পুর এলাকায়ও বহু ক্ষেত্রে সার্ভে দলকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এবং অনেক জায়গাতেই সার্ভে দলকে বাড়ীর বাইরে বাইরে দাড়িয়েই সার্ভের কাজ শেষ করতে হয়েছে।
জানাগেছে, কমলপুর ও উদয়পুরে বহু কন্টেইনমেন্ট জোনে মানুষ অভিযোগ করেছেন আমাদের বেরিকেড দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সরকারী প্রশাসন কন খোঁজ খবরই নিচ্ছেনা। প্রতিদিনের খাবার দাবার সংগ্রহ করতে পারছেননা তারা। এই অবস্থায় নতুন করে গ্রামে ঢুকে সার্ভের নামের রসিকতার কোন প্রয়োজন নেই অভিযোগ করে সার্ভে টিমকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
জানাগেছে, এক্ষেত্রে সার্ভে দলের প্রতিনিধিরাও বহু ক্ষেত্রে কোনও সংঘাতে যায়নি। পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরব দর্শক হয়েই ফিরে এসেছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিককে এ সম্পর্কে আজ জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও অবশ্য স্বীকার করেন সবক্ষেত্রে সার্ভে কর্মীদের করোনা টেস্ট হয়নি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ সার্ভে কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করেছেন। এবং প্রথন দিনেই সাড়া রাজ্যে দেড় লাখের উপর মানুষের বাড়িঘরে সার্ভে টিম পৌঁছুতে পেরেছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে।