জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ব্যতীত ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয় : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ১৬, : জনজাতিদের সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়নের মধ্য দিয়েই রাজ্য ও দেশের যথাযথ উন্নয়ন সম্ভব। রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রদর্শিত পথেই জনজাতিদের উন্নয়নে নানা প্রকল্প রূপায়ণের মধ্য দিয়ে জনজাতিদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন জনজাতিদের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তেমনি ত্রিপুরাতেও জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ব্যতীত ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৫ নভেম্বর খুমুলুঙে খুম্পই একাডেমি মাঠে রাজ্যভিত্তিক জনজাতি গৌরব দিবস তথা ভগবান বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগবান বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ও জনজাতি অংশের মানুষের উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করতেই প্রধানমন্ত্রী এই দিনটিকে জনজাতি গৌরব দিবস ঘোষণা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আমাদের লক্ষ্য হবে রাজ্যের জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া এবং উন্নয়নমূলক কাজকে ত্বরান্বিত করা। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নে সরকার কি কি উদ্যোগ নিয়েছে তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। জনজাতিদের কল্যাণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, বন দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, সাংসদ কৃতী দেবী দেববর্মণ, মুখ্যসচিব জে.কে. সিনহা, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব কে. শশীকুমার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৪০ জন জনজাতি সমাজপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ক্রীড়া, শিল্পকলা, নৃত্য, সংগীত, সামাজিক কাজ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য ১১ জন জনজাতি ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জনজাতি অংশের সমাজপতিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জনজাতি শিল্পীরা অনুষ্ঠানে মামিতা নৃত্য পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন...