Hare to Whatsapp
করোনা আক্রান্ত সুস্হ হয়ে যারা বাড়ী ফিরছেন নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ২৩, : রাজ্যে যখন করোনা জনিত পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যতিব্যস্ত প্রশাসন, ঠিক তখন আরেক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এই সমস্যা মোকাবেলা করা বস্তুত জটিল হয়ে উঠছে। বলি সমস্যা হচ্ছে তাদের, যারা করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ীতে ফিরছেন। এরা সামাজিক ভাবে নানা অপ্রীতিকর সমস্যায় ভুগছেন।
সমস্যা হচ্ছে স্রেফ অসচেতনতা জনিত কারণে।
জানাগেছে, যারা ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ীতে ফিরে গেছেন বা হোম কোয়ারেনটাইন অতিক্রম করেছেন তাদের পক্ষে বাজার হাট তো দূরের কথা এঁরা পাড়ার দোকানেও যেতে পারছেন না। এদের কাছে দোকানী জিনিসপত্র বিক্রি করতে গড়িমসী করছেন বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে এলাকা ছেড়ে বাড়ী থেকে একটু দূরে গিয়ে অচেনা দোকানীর কাছে থেকে সদাই আনছেন।
এদের এই অপ্রত্যাশিত সমস্যা এদের কুকড়ে কুকড়ে মারছে। প্রশাসনের কাছেও এঁরা এ সমস্যা সমাধানে দ্বারস্থ হতে পারছেনা। প্রশাসনও এ ব্যাপারে জানেন না এমনটি নয়। এরা এক্ষেত্রে স্হানীয় ক্লাবের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছেন।
অভিযোগ, ক্লাবের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে সবিশেষ নাক গলাচ্ছে না। অথচ এরা করোনা বিরোধী বা সচেতনতা বৃদ্ধির ফেষ্টুন টানিয়ে রেখেছে। বড় বড় বাত ঝাড়ছে। কিন্তু এরা বাস্তবে কি করছে সেদিকে কারো নজর নেই।
আসলে এই ধরনের সামাজিক সমস্যার সমাধান সামাজিক ভাবেই করা প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। এঁরা বলছেন এই সমস্যার বিরুদ্ধে স্হানীয়ভাবে কিংবা সামাজিক ভাবেই জনমত সৃষ্টি করতে হবে। প্রচারে আনতে হবে এদের কাছ থেকে কারো সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। সুস্থ হয়ে বাড়ীতে ফিরে যারা এসেছে এঁরা তো সহ নাগরিক। বরং এদের সাহাযে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। এদের সমাজ বিচ্ছিন্ন রাখার অর্থ এদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করা। এ ধরনের হতাশা সৃষ্টি করা তো অপরাধ।
অনেকেই বলছেন ছোট ছোট গ্রুপ তৈরী করে এদের নানাভাবে সাহায্য সহায়তা করা প্রয়োজন। প্রয়োজন এদের ঔষুধপত্র এনে দেওয়া।
দেখা যাচ্ছে সহযোগিতার পরিবর্তে এদের নানা ভাবে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তো সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
চিকিৎসা বিজ্ঞান এ বলা হয়ে থাকে সুস্হতা টিকিয়ে রাখতে হলে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।অন্যথায় সমস্যা বেড়েই যাবে।