Hare to Whatsapp
ছামনু,গঙ্গানগরের পার্বত্য জনপদে ম্যালেরিয়ার থাবায় ব্যতিব্যস্ত জনজীবন, প্রায় দুশতাধিক আক্রান্ত
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ২৩, : রাজ্য জুড়ে উদ্বেগজনক ভাবে থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া।ম্যালেরিয়ার মরন কামড়ে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। তাঁরা কোন চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না। কেননা করোনার বিস্তারে একদিকে বিপন্ন মানব সভ্যতা অন্যদিকে ম্যালেরিয়ার ছোবলে পাগলপারা উপজাতিয়রা।
বলা হচ্ছে ধলাই ও ছামনু উপত্যকার কথা।
এসব এলাকা থেকে প্রাপ্ত সংবাদ যে ইতিমধ্যেই গঙ্গানগর, আমবাসা অন্চলে প্রায় ১৭০ জনের দেহে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে। এরা পজিটিভ কিন্তু পরিষেবা পাচ্ছেন না। না কুলাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র না গঙ্গানগর হাসপাতালে বস্তূত চিকিৎসক বিহীন।কজনকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে অন্যত্র। করোনা চিকিৎসার জন্য তাদের অন্যস্হানে ডেপুটেশানে পাঠানো হয়েছে।ফলে চিকিৎসা পরিষেবা সুদূর পরাহত। সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে নানা অষুধের দোকানে যাচ্ছেন। সেখানে তাদের ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে প্যারাসিটামল, ক্লুরোকুইন, কুইনাইন। ভরসা ওদের ওখানেই।
জানাগেছে, কুলাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আওতাধীন শিকারীবাড়ী, জিওলছড়া, বলরাম, কাঠালবাড়ী এলাকায় এখনো কোনো চিকিৎসা কর্মী পৌঁছে নি। অন্যদিকে গঙ্গানগর হাসপাতাল এলাকার পার্বত্য জনপদ বিদ্যাপাড়া, সুধীরাম পাড়া, খগেন্দ্র রোয়াজাপাড়া এলাকায় ম্যালেরিয়ার দাপট অস্বাভাবিক। অথচ ওই অন্চলে ম্যালেরিয়া পজিটিভ রয়েছেন প্রায় ১১৮ জন।
সরকারীভাবে বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য শিবিরের কথা।পিড়ীতরা ভীড় জমাচ্ছেন ওষুধের জন্য। দিনভর অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। কারন চিকিৎসক আসেনি। চিকিৎসকরা আসতে পারছেন না। কারন ওদের কাউকে হয় কমলপুর,গন্ডাছড়া, খোয়াই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ডেপুটেশানে।
কিন্তু যদি এভাবে চলতেই থাকে তাহলে মৃত্যুর মিছিল শুরু হবে।ওই সব এলাকা এমনিতেই ম্যালেরিয়া প্রবন বলে চিহ্নিত। প্রতিবছর ম্যালেরিয়া এই সময়ে থাবা বসায়।
কিন্তু সমস্যা হল ম্যালেরিয়া কিন্তু বিস্তৃত হচ্ছে।শিশুরা বাড়ীতে শয্যায়।
স্বাস্হ্য দপ্তর এই পরিস্থিতিতে ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে আছে। দপ্তরের এই জগন্নাথ অবস্থা থাকলে পরিস্হিতির উদ্বেগজনক অবনতি হবে।