এই সরকারই রাজ্যের জনজাতি সমাজকে তাদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ৮, : জনজাতি সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বর্তমান রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সময়োপযোগী নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ৭ নভেম্বর গোমতী জেলার কিল্লায় দশরথদেব মেমোরিয়াল ইংলিশ মিডিয়াম মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গণে জনজাতি মহিলাদের মধ্যে রিয়া ও পাছড়া বুননের সুতা বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর জন জনজাতি মহিলার হাতে ২০ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (.ডা) প্রতীকীভাবে বুননের সুতা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নীতিকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার সার্বিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার মহিলা এখন বিভিন্ন স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনজাতি মহিলা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই সরকারই রাজ্যের জনজাতি সমাজকে তাদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে। আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরণ মহারাজা বীরবিক্রম মানিক্যর নামে করা হয়েছে। বড়মুড়া পাহাড়ের নাম রাখা হয়েছে হাতাইকতর, গন্ডাছড়ার নাম গন্ডাতুইসা। গড়িয়া পুজার সময় এখন দুই দিনের সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। তিনি জানান, আগে রাজ্যে মাত্র ৪টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে ২১৯ এ দাঁড়িয়েছে। জনজাতি বিকাশ যোজনার আওতায়-,৩২৫ জন সুবিধাভোগীকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১,০০০ টাকা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতি সমাজের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য আমাদের গৌরবের বিষয়। এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে রাজ্য সরকার নিরন্তর উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে আরও গতি দিতে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, বর্তমান সরকার জনজাতিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও জীবিকাবৃদ্ধির ক্ষেত্রগুলোয় বাস্তব উন্নয়ন ঘটিয়েছে। তিনি জানান, আত্মনির্ভরতার পথে জনজাতি মহিলাদের এগিয়ে নিতে এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, জনজাতি এলাকার উন্নয়নে রাজ্য সরকার বাজেটের প্রায় ৩৯ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়া বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিল্লা ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান বাগান হরি মলসম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হস্ততাঁত, হস্তকারু ও রেশম শিল্প দপ্তরের অধিকর্তা অজিত শুক্লদাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জেলার জেলাশাসক রিঙ্কু লাথের,সমাজসেবী সবিতা নাগ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ।
আরও পড়ুন...