প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিট্যাল ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ৭, : বর্তমান রাজ্য সরকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারিদের পেনশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যথা সময়ে পৌছে দেবার জন্য দায়বদ্ধ রয়েছে। এলক্ষ্যে একজন সরকারি কর্মচারি অবসরে যাবার আগে তার সব তথ্য ডিজিট্যালি রাখার জন্য এইচআরএমএস বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় ৬ নভেম্বর মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে ‘ন্যাশনাল ওয়াইড ডিজিট্যাল লাইফ সার্টিফিকেট ক্যাম্পেইন-৪.০' শীর্ষক একদিনের কর্মশালার উদ্বোধন করে একথা বলেন। অর্থ দপ্তর এই কর্মশালার আয়োজন করে। এর মূল উদ্দেশ্য হল পেনশনার্সগণ পেনশন পাওয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপ এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই নিজ নিজ সার্টিফিকেট যাতে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে পারেন। এই কর্মশালায় অর্থ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ট্রেজারি, অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল অফিস, পোষ্ট অফিস, কমন সার্ভিস সেন্টার সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মচারিগণ অংশ নেন।
কর্মশালার উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় এই ক্যাম্পেইন এর সুযোগ গ্রহণ করার জন্য পেনশনার্সদের প্রতি আবেদন জানান। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারিগণ কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিকভাবে উপস্থিত না হয়ে সহজে যাতে পেনশন গ্রহণ করতে পারেন এ উদ্দেশ্যেই এই ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে রাজ্য সরকারের ৮০ হাজার ১৯ জন পেনশনার্স রয়েছেন। আগে সরকারি কর্মচারিরা পেনশনে চলে গেলে পেনশন পাবার জন্য লম্বা সময় অতিক্রম করতে হতো। আজ এর পরিবর্তন হয়েছে। একে আরও সরলীকরণ করার জন্য অর্থ দপ্তর, ট্রেজারি, ব্যাঙ্ক ও এজি-র সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। এজন্য প্রতি জেলা ও মহকুমায় এরূপ কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিট্যাল ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর পথ ধরে বিধানসভা, মহাকরণ, জেলা, মহকুমা, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত ডিজিট্যাল ব্যবস্থা প্রচলন করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার জন্য রোড ম্যাপ তৈরী করেছেন। আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেও এরকম রোড ম্যাপ তৈরী করা হয়েছে। এর কাজও জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ৮০ হাজার ১৯ জন পেনশনভোগী ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে পেনশনের সুবিধা গ্রহণ করলে এই কর্মশালা সার্থক হয়ে উঠবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় বলেন, আমাদের রাজ্য বর্তমানে ডিজিট্যাল ব্যবস্থাপনা প্রয়োগে দেশে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। একে সকলের প্রচেষ্টায় এক নম্বরে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, পেনশনার্সদের যেসকল সমস্যা রয়েছে তা দূরীভূত করার জন্য এই ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আকিঞ্চন সরকার বলেন, পেনশনার্সদের জন্য সব ট্রেজারিতে হেল্পডেক্স চালু করা হবে। তিনি বলেন, এই ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে সুশাসন পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার স্টেট কো-অর্ডিনেটর পলাশ ভৌমিক ও পাঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সঞ্চিতা রায়। উপস্থিত ছিলেন এজি-র সিনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার উত্তম চক্রবর্তী, ট্রেজারি অফিসার (ওয়ান) বাদল রায়, ট্রেজারি অফিসার (টু) সুমন রক্ষিত, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বিবেক পাঠক প্রমুখ। সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অর্থ দপ্তরের যুগ্ম সচিব দেবস্মিতা কিলিকদার। এরপর টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সনগণ এই ক্যাম্পেইন এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন...