রাজ্যে শান্তির বাতাবরণ অক্ষুন্ন রাখতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ৩, : রাজ্যে শান্তিশৃখলার পরিবেশ অটুট রাখা রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে। উন্নয়নের জন্য চাই শান্তি ও সম্প্রতি। তাই রাজ্যে শান্তির বাতাবরণ অক্ষুন্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের শান্তিশৃখলা বজার রেখে সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। ২ নভেম্বর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভি-র শারদ সম্মান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভাল কিছু করতে হলে পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে সুশৃঙ্খল রাখতে হবে। রাজধানী সহ জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার মানুষ এবারের শারদ উৎসবের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছে। রাজ্যে জনজাতিদের সংস্কৃতির প্রসারে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যে ক্লাব সংস্কৃতির অমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলি সুষ্ঠ ও সুন্দর সমাজ গঠনে এগিয়ে এসেছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সমাজকে সুন্দর রাখতে এবং ‘এক ত্রিপুরা-শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গড়ে তুলতে ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। এই কাজে প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্যন্দন পত্রিকার ইতিহাসের স্মৃতিচারণা করে বলেন, বহু ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে স্যন্দন পত্রিকা আজ আমাদের কাছে খুব পরিচিত একটি পত্রিকা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলার পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস সি দাস, দোহার সাংস্কৃতিক সংস্থার বিশিষ্ট শিল্পী রাজীব দাস, স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক সুবল কুমার দে এবং এম ডি অভিষেক দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সংবাদিক সরজু চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে একজন দিবাঙ্গন, নেশামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ও আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এমন তিন জনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার (ডা.) মানিক সাহা সহ অন্যান্য অতিথিগণ এবারের শারদ উৎসবের বিভিন্ন থিমে বিজয়ী ২৮টি ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও বারোয়াড়ি পূজা কমিটিগুলির প্রতিনিধিদের হাতে শারদ সম্মান তুলে দেন।
 আরও পড়ুন...