সরকার রাজ্যের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, নভেম্বর ৩, : সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের অলংকার। সংস্কৃতি ছাড়া কেউ বাঁচতে পারেনা। আমাদের রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এজন্য আমরা গর্ববোধ করি। ২ অক্টোবর বিকেলে পুরাতন আগরতলা ব্লকের সেনপাড়ায় বাংলা সংস্কৃতি বলয় আয়োজিত শততম সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির পুনরুদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করছে। আমাদের রাজ্যেও সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। এই ধরনের সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ধরনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের সংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তরুণ প্রতিভার বিকাশের সুযোগ ঘটছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের এই উদ্যোগে শুধু নিজেদের জন্য নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংস্কৃতির দিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে এক প্রয়াস। তিনি বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের এই উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন। সংস্কৃতি হাটের মধ্যদিয়ে এই এলাকার গ্রামীণ মহিলারা বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে পেয়েছেন এবং আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটকে কেন্দ্র করে মহিলাদের জীবন জীবিকার উন্নতির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সেনপাড়ার সংস্কৃতি হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয় করার কথা ঘোষণা করেন। ত্রিপুরা রুরাল লাইভলিহুড মিশনের পক্ষ থেকে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এবং পুরাতন আগরতলা ব্লক বরাদ্দকৃত অর্থে সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজটি করবে। সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের শততম সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজন্য আমলের সংস্কৃতির কথাও উল্লেখ করেন এবং রবি ঠাকুরের সঙ্গে ত্রিপুরার মানিক্য রাজাদের যোগসূত্রের বিষয়টিও তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী সংস্কৃতির পরিচর্যা ও নিয়মিত প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটকে কেন্দ্র করে পর্যটনের বিকাশ ও পরিকাঠামো আরো কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায় সে বিষয়েও অভিমত ব্যক্ত করেন।

আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে মহিলাদের স্বনির্ভরতা এবং বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন। ক্রীড়ামন্ত্রী সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের এই প্রয়াসকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এবং রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। স্বাগত ভাষণ রাখেন বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের বিশ্ব কমিটির সভাপতি সেবক ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী পর্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার এবং টিআরএলএম-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তড়িৎ কান্তি চাকমা। শততম সংস্কৃতি হাটকে কেন্দ্র করে খয়েরপুর বিধানসভার অন্তর্গত সেনপাড়ায় আজ বিকেলে প্রচুর সংখ্যক শিল্পী ও সংস্কৃতিপ্রেমী জনগণের সমাবেশ ঘটে। স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা সাপ্তাহিক সংস্কৃতিক হাটে তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে পশরা সাজিয়ে বসেন।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.