Hare to Whatsapp
এমনটি হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু এখন এমনই হচ্ছে!
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ১৭, : ত্রিপুরা জুড়ে অপ্রত্যাশিতভাবে করোনাগ্রাফ রকেট গতিতে উর্দ্ধমুখী। আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে উপরে উঠছে। কেন এমনটা হচ্ছে? যদিও প্রায় প্রতিটি দেশেই এই চিত্র। একমাত্র মহারাষ্ট্র এর ধারাবী ব্যতিক্রমী। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি এলাকা এই ধারাবী। ওখানে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের বসবাস। এক একটি কুঁড়ে ঘড়ে ৬/৭ জনের বসবাস। বিকল্প কিছু নেই ওদের। জল নিকাশী ব্যবস্হাও খুবই দূর্বল। সেখানে করোনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্রেফ সচেতনতা বোধ, সামাজিক দূরত্ব, বারবার হাত ধোয়া ও সেনিটাইজ। ধারাবী মডেল প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্য ধারাবী মডেল অনুসরন করছে।
প্রশ্ন ধারাবী যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাহলে ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় কেন করোনা জনিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়? যদিও ধারাবীর বসবাসকারীদের সচেতনতা বোধ রয়েছে অনেক অনেক বেশি ।
আর আমাদের রাজ্যে সচেতনতা বোধ কতটুকু তা আমরা বাজার হাট, পরিবহন সর্বত্র দেখছি। এখানেতো একটা বড় অংশই আমরা সবাই রাজার রাজা। এই মনোভাব ডেকে আনছে মৃত্যুদূত করোনা ভাইরাসকে। যেখানে একজন রিকসা শ্রমিক, ঠেলা চালক মাক্স ব্যবহার করছে, সেখানে তথাকথিত প্রিভিলেইজড অংশ বাইক হাতে রেখে মাক্স ছাড়াই দিব্যি এখান ওখানে ছুটছে। অথচ একেকজন নানাজনের কাছ থেকে ক্লাবের মাধ্যমে অন্তত দশটি করে নানা দামের মাক্স পেয়েছে। পেয়েছে পিপিই কিটস।
যারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন তারা বলছেন আইন কঠোর ভাবে বলবৎ করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। এখানে নানা ভাবনা চিন্তা করার সময় নেই। আগে তো জীবন। বাঁচলে পরে অন্য কথা। কিন্তু সেই বেঁচে থাকাটাই অনিশ্চিত করে দিচ্ছে একশ্রেনীর অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত যুবকদের একাংশ।
ইতিপূর্বে বেশ কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সেই সব কেন্দ্র বিন্দুর নাম যেখানে চলে ড্রাগ, হেরোইন, ডেনড্রাইট, ইয়াবা রং রমরমা। যেখানে এসব চলে সেই কেন্দ্রগুলির দুপাশে বারটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এগুলি থাকাসত্ত্বেও কোন আইন অমান্যকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অথচ কয়েক হাত দূরে থানা, পোষ্ট।
এদের দমন করা যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন করোনা প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্হা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
প্রশাসনের একাংশ এক্ষেত্রে গড়িমসী করছে বলে অভিযোগ। বড়কথা রাজ্য অবিলম্বে ধারাবী মডেল অনুসরন করা ।