সাধারণ রোগীদের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিসেবা সম্পর্কে আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করাই সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ২৬, : রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিসেবাকে সহমর্মিতা, উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং সুসংহত ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রয়াস নিয়েছে। সাধারণ রোগীদের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিসেবা সম্পর্কে আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করাই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। ২৫ অক্টোবর এজিএমসি এবং জিবিপি হাসপাতালের কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নর্থ-ইস্টার্ন রিজিওন্যাল চ্যাপ্টার অব ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্যাথলজিস্টস এন্ড মাইক্রোবায়োলজিস্টস (নারকন)-এর ৩৪তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে এই সংস্থার একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া অনুষ্ঠানে মরণোত্তর ডা. কনক চন্দ্র বরুয়া এবং রাজ্যের বিশিষ্ট প্যাথলজিস্টস সুশীলা দেবীকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, প্যাথলজিস্টস এবং মাইক্রোবায়োলজিস্টসরা হলেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদন্ড। পর্দার আড়ালে থেকে সঠিক স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের সহায়তায় তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, এই ধরণের সম্মেলন ত্রিপুরা রাজ্যে তৃতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার ধারাবাহিক উন্নয়নকে প্রদর্শিত করে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান সরকার যথেষ্ঠ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিপি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যে ৪টি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। আগামীদিনে লিভার এবং হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেরও সুযোগ সৃষ্টি করার দিকে কাজ করা হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এইমস, (দিল্লির) সাথে মৌ স্বাক্ষরিত করেছে। আগরতলা গভর্ণমেন্ট ডেন্টাল কলেজে দন্ত চিকিৎসায় আধুনিক পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র শহুরে এলাকাই নয়, সমগ্র রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর ধারাবাহিক উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ইতিমধ্যে ১৬ লক্ষ সুবিধাভোগীদের কার্ড প্রদান করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ২.৫ লক্ষ পরিবারকে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। পিএম-ডিভাইন স্কিমে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আগামীদিনে চক্ষু চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যার টার্শিয়ারি হাসপাতাল গড়া হবে।
আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, নারকন-এর সভাপতি ডা. রোমিকা বরুয়া, ডিরেক্টর হেলথ সার্ভিসেস প্রফেসর (ডা.) তপন মজুমদার, ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন প্রফেসর (ডা.) এইচ পি শর্মা এবং পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন...