Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা বে-রোজগার রেজিস্টার-শীর্ষক অনলাইন পরিষেবা চালু করলো ডি ওয়াই এফ আই এবং টিওয়াইএফ
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ১৬, : রাজ্যের নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা মাত্র ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৩৩ জন বলে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল এবং তথ্য বিকৃতির চূড়ান্ত নির্দশন বলে অভিযোগ করেছে ডি ওয়াই এফ আই-র ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি এবং টিওয়াইএফ কেন্দ্রীয় কমিটি। বুধবার মেলারমাঠ ছাত্র যুব ভবনে এক সাংবাদিক সন্মেলনে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব এই অভিযোগ করেছেন।
নবারুণ দেব- এর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বেকারের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করছেননা। তার দাবি ২০১৮ সালের ২১ জুন রাজ্য সরকার কর্তৃক বিধানসভার তথ্যে বেকারের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৪১ লক্ষ ৩০৫ জন। এর ঠিক তেরো মাস পর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই বিধানসভার তথ্য মোতাবেক নথিভুক্ত বেকার ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৫৪ জন। আবার উনিশ মাস পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী বিধানসভার তথ্য অনুযায়ী নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৩৩ জন। এই তথ্য অনুযায়ী মাত্র সাতাশ মাসে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯৭২ জন বেকারের কোনও খোঁজখবর নেই। তাঁদের কোথায় কর্মসংস্থান হলো, এরা কোথায় গেলেন কোনও তথ্য নেই। নবারনের আরও অভিযোগ, বিধানসভার তথ্য বলছে গত দুইবছরে রাজ্যে ২০৪৭ জন বেকারের চাকরি হয়েছে।এবং অধিকাংশ চাকরি শিক্ষক পদে হয়েছে। তাতে অতি সহজেই অনুমেয়, সাড়ে পাঁচ লক্ষের উপর নথিভুক্ত বেকারের তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। যদিও ভিশন ডকুমেন্টে প্রতিশ্রুতি ছিল ঘরে ঘরে রোজগার ও প্রথম বছরে পঞ্চাশ হাজার চাকরি হবে। এখন প্রতিশ্রুতি গায়েব। উল্টো তথ্যও গায়েব হচ্ছে। তার আরও অভিযোগ, জোট সরকারের নতুন পোর্টাল নিয়ে রাজ্যের বেকার যুবকযুবতীরা হতাশ। কিন্তু এই পোর্টাল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। উল্টো সিএমআইইর রিপোর্টে বেকারিতে দেশে দ্বিতীয় ত্রিপুরা।
সিএমআইইর রিপোর্টে বলা হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে বেকারির হার ২১.৩ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রকৃত বেকারের তথ্য প্রকাশের জন্য বামপন্থী যুব সংগঠনের তরফে ‘বে-রোজগার রেজিস্টার অব ত্রিপুরা’ শীর্ষক অনলাইন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। সাংবাদিক সন্মেলনে পলাশ ভৌমিক ও অমলেন্দু দেববর্মও উপস্থিত ছিলেন।