Share Whatsapp

২০২৩ এর আগেই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী

By Our Correspondent

আগরতলা, জানুয়ারি ৩১, : আগরতলা, ৩১ জানুয়ারিঃ ২০২৩ এর আগেই সকল প্রকার সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করা হবে। রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এক হাজার টাকা ভাতা করা হয়েছে। একই সাথে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থ রাশি হাতে এলেই আন্তরিকতার সাথে সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা হবে। শুক্রবার নজরুল কলা ক্ষেত্রে ত্রিপুরা সিনিয়র সিটিজেন এন্ড পেনশনার্স সংঘের দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব।

তিনি জানান সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ রূপায়ণ করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে ৩৪৭ কোটি টাকা। সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করার পর সরকারের অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে প্রতি মাসে ১২০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ৪৬৭ কোটি টাকা প্রতি মাসে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

পূর্বতন সরকারের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন তারা কখনো ১০০ টাকার বেশি ভাতা বাড়ায়নি। কর্মচারীদের সাথে প্রতারণা করে ২.২৫ ফ্যাক্টর লাগু করে সন্তুষ্ট রেখেছে। কর্মচারীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি বিগত সরকার। এর স্থায়ী সমাধানের পথেও হাঁটতে দেখা যায়নি তাদের।

"কমিউনিস্ট শাসন কালে সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থে আন্দোলনে পথে নামে বিজেপি দলের কার্যকর্তারা, অথচ তাদের মধ্যে কেউ সরকারি চাকুরীজীবী ছিলেন না।" মুখ্যমন্ত্রী একে বিরল ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন।

সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজ্যের জনগণের মধ্যেও বিশাল পরিবর্তন এসেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন "এখন কর্মসংস্কৃতি এসেছে , সমাজেও পরিবর্তন এসেছে"। এই পরিবর্তনের ছোঁয়া কমিউনিস্টদের মধ্যেও লেগেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন 'এখন কমিউনিস্টরা লেনিন স্ট্যালিনের নীতি-আদর্শ থেকে বেরিয়ে গান্ধীজীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে বাধ্য হয়েছে।'

কর্মজীবন থেকে অবসরে গেলে কারোর কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায় বলে মুখ্যমন্ত্রী মানতে নারাজ। তিনি বলেন "কাজই জীবন, কাজই একজনকে মহান ব্যক্তি বানায় "। বর্তমান সরকারের ঘাড়ে বিগত সরকার ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছে। তার পরেও বর্তমান সরকারের কর্মতৎপরতায় সিডি রেশিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ৩৯ থেকে বেড়ে বর্তমানে সিডি রেশিও হয়েছে ৫৬ শতাংশ।

শিল্প ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেয়ার ফলে রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কর্মোদ্যোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই রাজ্যে মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন "আমি বেঁচে থাকতে ত্রিপুরাতে কমিউনিস্টকে আসতে দেব না"।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা সহ ত্রিপুরা সিনিয়র সিটিজেন এন্ড পেনশনার্স সংঘের কর্মকর্তারা।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.