Hare to Whatsapp
ইতিহাসে জীবন্ত হলেন রথীন দত্ত
By Our Correspondent
আগরতলা, জানুয়ারি ২৭, : পদ্মশ্রী ডা: রথীন দত্ত । এই মুহুর্তে তাঁর মরদেহ সংরক্ষিত রয়েছে বাড়ি থেকে অল্প দূরে কোলকাতা মেডিকা হাসপাতালে। আজ ভোরে গল্ফ টাওয়ারে নিজ ফ্ল্যাটে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। গত মাস তিনেক ধরে তিনি ভোগছিলেন। দু' দুবার নিমোনিয়ার ছোবল এবং শেষত: মাইল্ড স্ট্রোক। এর পর ই আংশিক পক্ষাঘাত। গত মাস খানেক ধরে কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না। কাউকে চিনতে পারছিলেননা। মুখটাও একটু বেঁকিয়ে গিয়েছিল। তবুও আজ ই যে চলে যাবেন তিনি সেকথা ভাবতেই পারেননি তাঁকে যিনি মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছিলেন তাঁর সেই স্নেহময়ী বৌদি। বলতে বলতে চোখ ছলছল করে ওঠেছিল তাঁর।
কাল তাঁর অন্তেষ্টি। ছেলে নিউইয়র্ক থেকে কাল এসে পৌঁছুবেন বিকাল চারটেয়। এসে বাবার মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য সোজা চলে যাবেন মেডিকায়। মেয়ে আসবেন সন্ধ্যা সাতটায় সানফ্রানসিসকো থেকে। তারপর রাতেই পঞ্চভূতে মিলিয়ে যাবে কিংবদন্তীর শল্য চিকিৎসক ডা: দত্ত 'র নশ্বর দেহ। এই ডিসেম্বরে তাঁর ৮৯ বছর পূর্ণ হল।তাঁর স্ত্রী বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মিসেস দত্ত আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন।
ত্রিপুরার মানুষের চিরপরিচিত মানুষ ডা: রথীন দত্ত তাঁর দক্ষতা এবং ব্যবহারে সকল হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছেন। তাঁর আজীবন সেবা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত মানুষকে নতুন জীবন দিয়ে তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। ফল স্বরূপ তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সেদেশের অনুরূপ সম্মানে ভূষিত করেন। সম্মান স্মারকে স্মারকে তাঁর বাড়ি ছয়লাপ। এমন একটি ব্যক্তিকে হারিয়ে আজ আমরা ঐশ্বর্যহীন হলাম। একটি জীবন্ত সত্তা নিজ কক্ষচ্যূত হয়ে চলমান ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করলো। জয়তু ডা: রথীন দত্ত ।