Hare to Whatsapp
শহরে গিন্জি এলাকায় হোটেলে কোয়ারেইন্টেন স্হাপন নিয়ে কথা উঠেছে।
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ১০, : রাজ্যে এখন পর্যন্ত কতটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে তা রাজ্য সরকার বিশেষ করে স্বাস্হ্য দপ্তর বলতে পারবে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সম্পর্কে বিজ্ঞাপিত করতেই হবে। এটাই বিধি। কেননা বিষয়টি স্বাস্হ্য সচেতনতা ও প্রতিরোধাত্মক ব্যবস্হার সাথে যুক্ত ও অত্যাবশ্যক।কিন্তু রাজ্য সরকার অনেক ক্ষেত্রেই নিজেই বিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বলা নেই কওয়া নেই রাজ্য সরকার রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে সম্রাট হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করেছে।কেউ কিছুই বলতেই পারেনা কোয়েরাইন্টাইন সেন্টারটি সম্পর্কে। এমনকি এর দুপাশে যে সব দোকানপাট রয়েছে তাঁরাও এবিষয়ে অজ্ঞ। হোটেলের যে সব কর্মী রয়েছে তারা কোন নিয়মকানুনের বালাই মানে না।যখন খুশী আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা পিপিই পড়ে না। মাক্স ব্যবহার করে না। সেনিটাইজার তো দূরের কথা। এভাবেই এরা ভেতরে যাচ্ছে, পরিষেবা দিচ্ছে, আবার বাইরে চলে আসছে। আরও অভিযোগ, হোটেলের কর্মীরা যখন খুশী তখন নিজেদের বাড়ি ঘরেও যাচ্ছে, আবার হোটেলে ফিরে আসছে। নানাজনের সাথে মেলামেশা করছে।এ করতে গিয়ে কিন্তু অস্বাভাবিক ভাবে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।এমনিতেই রাজ্যে করোনা গ্রাফ বাড়ছে। সামাল দিতে ব্যতিব্যস্ত প্রশাসন। শোনা যাচ্ছে আগামী রবিবার আবার লকডাউন দেয়া হচ্ছে। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে রাজ্যে আবার কয়েকদিনের জন্য লাগাতার লকডাউন দেয়া হতে পারে। সতর্কতা অবলম্বন এই মুহূর্তে খুব জরুরি। কারন গোটা বিশ্ব এখন করোনা গ্রাসে।কখন কার উপর করোনা ভাইরাস থাবা বসাবে তা অনিশ্চিত। রাজ্য সরকার কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিনে এন্টিজেন টেষ্ট। পর্যায়ক্রমিক ভাবে গোটা রাজ্যেই এন্টিজেন টেষ্ট হবে। এর জন্য সরকার আরো কিটসের অর্ডার দিয়েছে।গত পরশু চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে একটি বিশেষ বিমান রাজ্যে এসেছে।স্বাস্হ্য দপ্তর আশা করছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আরো দুটি বিমান আসবে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে। মূলতঃ আসবে এন্টিজেন কিটস নিয়ে। রাজ্য সরকার প্রাথমিক ভাবে সিন্ধান্ত নিয়েছে সবাইকেই এই টেষ্ট করানো হবে। এর জন্য সরকার প্রস্তুতি নিয়েছে। অথচ হরিগঙ্গা স্কুল রয়েছে সাথেই। ওটিতে কোন ছাত্র ছাত্রী নেই অনেকদিন হল। সরকার ওটাকে বড় কোয়ারেনটাইন সেন্টার করতে পারত। করেনি। অভিযোগ, দলীয় এক কর্মীকে পাইয়ে দিতে এই হোটেল বেছে নেয়া হয়েছে।আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশেগাড়ীর আওয়াজ লেগেই থাকে। তাই এমন জায়গায় কোয়ারেইন্টেন সেন্টার করা নিয়ে কথা উঠেছে।